উত্তরের পাহাড়ে বেড়াতে এসে মোমো খাননা, এমন খুব কম পর্যটকই আছে।এবার পুজোর ছুটিতে আলিপুরদুয়ার জেলার প্রত্যন্ত বক্সা পাহাড়ে বেড়াতে এলে এক নতুনত্ব মোমো স্বাদ পাবেন পর্যটকেরা। দেখতে কালচে এই মোমো তৈরি করা হয়েছে মিলেট দিয়ে। মোমোর পাশাপাশি, থাকছে নুডলস, পাস্তার মতো খাবারও। এছাড়া এগুলো ছাড়াও বক্সা পাহাড়ের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি,স্থানীয় নেপালি, ডুকপা জনজাতির নানান রকমারি খাবারের স্বাদ এবার নিতে পারবেন পর্যটকেরা। আর এই সবকটি খাবারই তৈরি হয়েছে মিলেট ও ভুট্টা দিয়ে। ফলে একদিকে পরিবেশের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে যেমন প্রশাসনের তরফে বক্সা পাহাড়ি গ্রামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্লাস্টিক ব্যবহার।তেমনই পর্যটকদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এবার বক্সা পাহাড়ের পাদদেশে থাকা শান্তলাবাড়িতে কৃষিদফতরের আদমা প্রকল্পের সাহায্যে উদ্বোধন করা হল হল মিলেট কাউন্টারের। যার নাম দেওয়া হয়েছে “ওয়েলনেস শপ” বা “সুস্থতার দোকান।

” যা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন শান্তলাবাড়িরই এক স্বনির্ভর দলের মহিলারা। রাজ্যে প্ৰথম কোনো পর্যটন কেন্দ্রে এই রকম কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি কৃষি দফতরের।এদিনের কর্মসূচিতে রাজ্যের যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) দীপঙ্কর রায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব, আলিপুরদুয়ার মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) রজত চট্টোপাধ্যায়,কালচিনি সহ কৃষি আধিকারিক প্রবোধ মন্ডল সহ একাধিক আধিকারিক ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) দীপঙ্কর রায় বলেন, “আগের তুলনায় কালচিনি ব্লকে এবছর প্রায় একশো হেক্টর জমিতে এই মিলেট চাষ হচ্ছে।পাশাপাশি, এই এলাকায় বাসিন্দাদের খাওয়ার চলও রয়েছে।আর সেটাই এবার পর্যটকদের মধ্যে পৌঁছে দিতেই আমাদের প্রয়াস। এ বিষয়ে স্বনির্ভর দলের মহিলা সুখমতি ঘিসিং বলেন, “মোমো ছাড়াও ভুট্টার ভাত, খিচুরি, মিলেটের রুটি, খির সহ ৩০ টির কাছাকাছি সুস্বাদুর পাশাপাশি,স্বাস্থ্যকর খাবার থাকছে আমাদের এখানে। যা নিশ্চয়ই পর্যটকদের নজর কাড়বে বলে আশা করছি আমরা।”