একেবারেই শেষ পর্যায়ে জমির সার্ভের কাজ। স্ক্রটিনির পরেই তা রাজ্যে পাঠিয়ে, অন্তত পাঁচ শতাধিক পুর নাগরিকদের পাট্টার আওতায় আনতে অতি সক্রিয় ভূমিকায় বালুরঘাট পুরসভা। অনান্যদের মত সরকারি জমিতে বসবাসকারী ভূমিহীনদের যাবতীয় প্রকল্প এবং অনান্য সুবিধা প্রদানে এই উদ্যোগ।
রাজ্য সরকারের উন্নয়নশীল নীতিকে কার্যকর করতে ভূমি দপ্তরকে নিয়ে যৌথ ভূমিকায় পুর কর্তৃপক্ষ। এদিকে ভূমিহীনদের ভূমি প্রদান নীতিকে প্রশাংসা সব মহলের।

নিজস্ব জমি না থাকায় রাজ্যের উন্নয়নশীল প্রকল্প থেকে আজও বঞ্চিত প্রচুর দু:স্থ এবং সাধারণ মানুষ। যা ইতিমধ্যে নজরে এসেছে বালুরঘাট পুরসভার পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের। রাজ্য তথা জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে ওইসব বঞ্চিত মানুষদের পাট্টা প্রদানে মাস কয়েক আগে তৎপর হয়েছে বালুরঘাট পুরসভা। দেখা যায়, এশহরের ২৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১, ৩, ১১, ১৩, ১৭, ২৪ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সরকারি জমি দখল করে থাকা মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। এরপরেই শুরু হয় ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পাট্টার আবেদন গ্রহন প্রক্রিয়া। সব মিলিয়ে অন্তত পাঁচ শতাধিক আবেদন এসেছে পুরসভার হাতে। আবেদনকারীদের দখলে থাকা জমির মাপজোক, স্কেচ ম্যাপ এই কাজগুলি এমূহূর্তে শেষ পর্যায়ে।
বালুরঘাট পুরসভার এমসিআইসি তথা দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিপুল কান্তি ঘোষ জানান, আরবান এলাকাতে থাকা সরকারি জমিতে বসবাস করছে এমনদের পাট্টা দেওয়া হবে। মিউনিসিপ্যাল এক্ট-এ পাট্টা দেওয়া যায়। রাজ্যে সরকারের নির্দেশাক্রমে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল। কলোনী এলাকাগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে তাদের কাছে। সার্ভের কাজ একেবারেই শেষ পর্যায়ে। স্কুটুনির কাজ করে তা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো পাঠাবেন আগামী ১০ দিনের মধ্যে। জমির পরিমান, প্রকার, দখলদারির বিষয়, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি পর্যালোচনা করে মিলবে যোগ্য আবেদনকারীদের এই পাট্টা। এনিয়ে তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে এটা সম্ভব হতে চলেছে।