দেখেই চোখ কপালে উঠে গেল ১২০টাকার লটারি কেটে কোটিপতি টোটো চালক বিশ্বজিৎ বর্মন।
দিনভর হাড়ভাঙা খাটুনি করে টোটো চালান।তাতে যা স্বল্প আয় হয় তা দিয়েই চলছিল সংসার।সোমবার ১২০ টাকার লটারির টিকিট কেটেছিলেন তিনি।একটা কাগজের টুকরোই পাল্টে দিল তার ভাগ্য।তিনি হয়ে গেলেন কোটিপতি। ১২০ টাকার লটারি কাটেন এদিন তিনি।আর তাতেই ভাগ্য ফিরল মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের পারডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের পারডুবির বাতানবাড়ি এলাকার বিশ্বজিৎ বর্মনের। এইভাবে যে হঠাৎই ভাগ্য বদল হবে সে কথা কখনোই ভাবেনি বিশ্বজিৎ ।ভাগ্য ফেরানোর আশায় বেশকিছুদিন ধরেই লটারি কাটছিলেন তিনি।

তবে তার কাটা একখানা লটারির টিকিটে যে তার জীবন একেবারেই বদলে দেবে সেকথা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি বিশ্বজিৎ ।লটারিতে প্রথম বিজেতা হয়ে তিনি পুরস্কারে জিতলেন এক কোটি টাকা।কোটিপতি বিশ্বজিত আনন্দে আত্মহারা। তিনি বলেন টিকিটটা মিলে গেছে শুনেই চোখ কপালে উঠে গেল।বারবার দেখে নিশ্চিত হলাম আমারই টিকিটে লেগেছে। টিকিট মিলিয়ে বাড়ি থেকে সোজা ঘোকসাডাঙ্গা থানায় গিয়ে টিকিটটি জমা করার প্রক্রিয়া শুরু করবো।তিনি জানান লটারি কেটে কোটিপতি হওয়ায় ভালোই হল,ছেলে মেয়েদের ভালো ভাবে মানুষ করা যাবে।প্রাপ্ত অর্থ কীভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় সেই নিয়ে পরে ভাবনা চিন্তা করে দেখবেন বলে জানান তিনি।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আনন্দে আত্মহারা বিশ্বজিৎ ও তার পরিবার। বিশ্বজিতের এই পুরস্কার মেলায় খুশি পাড়া প্রতিবেশী থেকে শুরু করে স্থানীয়রাও।