ভোট করালে তৃণমূল ধূপগুড়ি পুরসভায় ক্ষমতা হারাবে, সেই ভয়ে ভোট করাচ্ছে না। অগণতান্ত্রিকভাবে ধূপগুড়ি পুরসভায় প্রশাসক মন্ডলী বসে রয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের।ধূপগুড়ি পুরসভার পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই পুরসভার দায়িত্ব নেয় চার সদস্যের পুর প্রশাসনিক মন্ডলী। বিগত তিন বছর থেকে পুর প্রশাসনিক মন্ডলী সমস্ত রকম কাজ পরিচালনা করছে। যার আজ তিন বছর পূর্ণ।নাগরিক মঞ্চ সহ বিরোধীদের অভিযোগ, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করা হচ্ছে। নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত সে শহরের মানুষ।

ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি, পানীয় জলের সমস্যা, শহরের জঞ্জালের সমস্যা সহ একাধিক সমস্যা জর্জরিত। ওয়ার্ড গুলোতে এই মুহূর্তে কাউন্সিলর নেই নির্বাচন হওয়াটা জরুরি দাবি সকলের। কেন এখনো নির্বাচন হচ্ছে না প্রশ্ন তুলছেন সকলে। কবে ধূপগুড়ি পুরসভা নির্বাচন হবে এই নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে কিছুই জানা যায়নি। তবে নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন শুরু করেছে বিরোধীরা। রবিবার পুর প্রশাসক মন্ডলীর দায়িত্ব পাওয়ার তিন বছর পূরণের দিন পুরসভা ভোটের দাবিতে ধূপগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারিং করেছে ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ। ভোট করালে তৃণমূল ধূপগুড়ি পুরসভায় ক্ষমতা হারাবে, সেই ভয়ে ভোট করাচ্ছে না ।অগণতান্ত্রিকভাবে পুর প্রশাসক বসে রয়েছে দাবি সিপিএম, বিজেপির।আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিরোধীদের।এবিষয়ে ধূপগুড়ি পুরসভার বর্তমান পুর প্রশাসক মন্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, আমরাও ভোট চাই। ভোট করতে সব সময় প্রস্তুত। ভোট করাবে নির্বাচন কমিশন।সমস্ত বিষয়টি নির্বাচন কমিশন দেখবে। আমরাও চাই দ্রুততার সাথে ভোট হোক। যারা আন্দোলন করছে করুক।পুর বোর্ডের মেয়াদ শেষের তিন বছরের বেশি সময় উত্তীর্ণ,রবিবার প্রশাসক মন্ডলীর দায়িত্ব পাওয়ার তিন বছর পূর্ণ হল ।ভোট হচ্ছে না ধূপগুড়ি পুরসভায়। পুর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে নাগরিকরা।পুরসভা ভোটের দাবিতে ধূপগুড়ি শহর জুড়ে পোস্টারিং করেছে মহকুমা নাগরিক মঞ্চ।