হাসপাতাল থেকে উধাও রোগী, রাতে তুমুল উত্তেজনা হাসপাতালে। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে উধাও চিকিৎসাধীন এক রোগী। দিনভর খোঁজাখুঁজির পরও রোগীর খোঁজ না মেলায় গোটা ঘটনায় শুক্রবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিঁখোজ রোগীর পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার রাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের গেটের সামনে অবস্থানে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রোগীর আত্মীয় ও পরিজনরা। ঘটনাকে ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। বৃহস্পতিবার রাতে বক্সিরহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বক্সিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়,ভানুকুমারী -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নাগারখানার বাসিন্দা অসুরউদ্দিন মিঞা (48) ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর বুধবার সকালে জ্বর নিয়ে তাঁকে বক্সিরহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার সকালে আসিরুদ্দিনকে ইনজেকশন দিতে যান নার্সরা। হঠাৎই স্যালাইন খুলে দৌড়ে পালিয়ে যান আসিরুদ্দিন। পাশের থাকা তাঁর মা চিৎকার-চেঁচামেচি করলেও কেউই ওই রোগীকে আটকানোর চেষ্টা করেনি বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে ওই রোগীর কোন খোঁজ করেননি বলে অভিযোগ পরিবারের। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে রোগী নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হয় বক্সিরহাট থানায়। দিনভর রোগীকে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের লোকজন। চলে মাইকযোগে নিখোঁজ প্রচার। কিন্তু তারপরও খোঁজ মেলেনি রোগীর। এতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাভীলতি নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় রোগীর পরিবারের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার রাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাভিলতির অভিযোগ তুলে গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রোগীর আত্মীয় ও পরিজনরা। তাঁদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের মধ্যে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামল দেয়।
তবে হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষ্মী থাকা সত্বেও কিভাবে রোগী উধাও হয়ে গেল হাসপাতাল থেকে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ইনজেকশন দেখে দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি। আমরা থানার দ্বারস্থ হয়েছি বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।