DIGITAL BANGLA NEWS

আপনার এলাকার খবর

স্বামীর অধিকার পাওয়ার দাবি, নদীয়ার খাপড়াডাঙ্গা এলাকায় ধর্নায় বসলেন গৃহবধূ

বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যর পরিবারে সিভিক ভলান্টিয়ার ভাই, দুজনের প্রভাবেই বিয়ে হওয়ার পরেও স্বামীর বাড়িতে ঠাঁই পাচ্ছেন না মহিলা। স্বামীর অধিকার চেয়ে বাড়ির সামনে বিবাহের কাগজপত্র নিয়ে ধরনায় গৃহবধূ,ঘটনাস্থলে পুলিশ, অভিযুক্ত স্বামী এবং বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ও সিভিক ভলেন্টিয়ার পলাতক। টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে দেওয়ার দাবি পঞ্চায়েত সদস্যর মায়ের। চাঞ্চল্য এলাকায়।
বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যর পরিবারে সিভিক ভলেন্টিয়ার ভাই দুজনের প্রভাবেই বিয়ে হওয়ার পরেও বাড়িতে ঠাঁই পাচ্ছেন না মহিলা। স্বামীর অধিকার পাওয়ার দাবি নিয়ে বাড়ির সামনে ধরনায় বসলো গৃহবধূ। জানা যায় নদীয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত ঘোড়ালিয়া খাপড়াডাঙ্গা এলাকারই বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য অজয় দাসের কাকার ছেলে সঞ্জয় দাস, অভিযোগ এক বছর আগে সঞ্জয় দাসের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় সোমা দাস পাল নামে এক মহিলার। মহিলার অভিযোগ এর আগে তার একটি বিবাহ হয়েছিল পুত্র সন্তানে রয়েছে।

কিন্তু আগের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার কারণে ওই এলাকারই সঞ্জয় দাসের সঙ্গে পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তারপর আইনিমতে বিবাহ হয় সঞ্জয় দাসের সঙ্গে সোমা দেবীর। আগের পক্ষে সন্তানকেও মেনে নেয়া হয় বলে জানান ধরনায় বসা গৃহ বধূ। অভিযোগ রাতের অন্ধকারে সঞ্জয় দাস মহিলার সঙ্গে দেখা করেন এবং তার সঙ্গে সহবাস করেন, আইনত বিবাহ হওয়া সত্বেও বাড়িতে না তুলে বিভিন্ন হোটেলে তার সঙ্গে গিয়ে সহবাস করেন। এর আগে একবার বাড়িতে নিয়ে আসার পর মারধর করা হয় মহিলাকে এমন অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ। তবে আইনত বিবাহ সত্বেও কেন তিনি তার স্বামীর ঘর করতে পারবেন না সেই দাবি নিয়ে আজ অভিযুক্ত স্বামীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন ওই গৃহবধূ। তিনি আরো জানান যদি তার স্বামী তাকে নিয়ে সংসার করে তাহলে আদালতে করা মামলা তিনি প্রত্যাহার করবেন। অপরদিকে গৃহবধুর আরও অভিযোগ তার স্বামী সঞ্জয় দাসের দাদা সুজয় দাস সিভিক ভলেন্টিয়ার এর চাকরি করে এবং সেই কারণেই মহিলাকে পুলিশের ভয় দেখানো হয় তৎসহ বলা হয় আমাদের হাতে পুলিশ আছে যা করার করে নে। ঘটনায় তিনি অভিযোগ করছেন একজন আইনের রক্ষক হয়ে কিভাবে এই সমস্ত ঘটনা প্রশ্রয় দিচ্ছেন। যদিও এ বিষয়ে অভিযুক্তর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনরকম সদ উত্তর পাওয়া যায়নি। অপরদিকে পঞ্চায়েত প্রধানের মা জানান টাকা পয়সা দিয়ে মিটিয়ে দিলে বিষয়টি ভালো হয়। যদিও এলাকাবাসী সাত সকালেই এই ঘটনা দেখে ভিড় জমান অভিযুক্ত সঞ্জয় দাসের বাড়ির সামনে। এই ঘটনায় বেলঘড়িয়া দু’নম্বর অঞ্চলের প্রধান বর্ণালী বর্মন জানান, ওই মহিলা দীর্ঘদিন আগে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রধান পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দুপক্ষকে ডেকে মীমাংসা করারও চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পরবর্তীতে সেই মীমাংসা হয়নি। অপরদিকে ওই এলাকার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ওই বাড়িরই তাই তারাও ইচ্ছা করলে বিষয়টি সমাধান করতে পারতো। বর্তমানে বিষয়টি আইনের আওতায় তাই কোড এবং পুলিশ যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই শিরোধার্য হবে। যদিও ঘটনা জানাজানি হতেই শান্তিপুর থানার প্রশাসন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এবং পুলিশ ধরনায় বসা গৃহবধূকে ফের অভিযোগ জানানোর জন্য থানায় ডেকে পাঠায়। মহিলার দাবি যতক্ষণ না তিনি তার স্বামীর অধিকার পাচ্ছেন ততক্ষণ তিনি পিছুপা হবেন না।

শেয়ার করুন...

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live TV

play-sharp-fill

নতুন খবর আবার পড়ুন

বালুরঘাট শহরের গোবিন্দপুর এলাকায় ফায়ার সেফটি বিহীন সোয়া মিল, বিধ্বংসী আগুনের থেকে রক্ষা পেলেন স্থানীয়রা

জনবহুল এলাকায় ফায়ার সেফটি বিহীন সোয়া মিল। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের হাত

Read More »