সেনা জওয়ানের রহস্য মৃত্যু। দেহ বাড়িতে ফিরতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল পরিবার,দাবি মৃত্যুর পেছনে রয়েছে কোনো রহস্য।ধূপগুড়ি শহরের ১২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রমেন চন্দ্র দাস ভারতীয় সেনাবাহিনীর আসাম রাইফেলস এর শিলচরে কর্মরত ছিলেন।পরিবারের তরফে জানানো গত ২ আগষ্ট ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে সেনাবাহিনীর শিলচর ইউনিট থেকে জানানো হয়।মৃত্যুর কারন হিসেবে বলা হয় সুবেদার রমেন চন্দ্র দাস আত্মহত্যা করেছে,তার সুইসাইড নোট উদ্ধার হয় বলে পরিবারের দাবি।সেই সময় পরিবারের তরফে তার ছবি দাবি করা হলে ইউনিট থেকে জানানো হয় দেহ ছবি সবটাই পরিবারকে দেওয়া হবে।এদিকে সোমবার দেহ বাড়িতে ফিরতেই ভিড় জমায় এলাকার লোকজন এবং খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় ধূপগুড়ি পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং।

দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে গেলে পরিবারের লোকজন প্রথমেই দাবি জানায় আত্মহত্যার সময় তিনি যে সুইসাইড নোট রেখেছেন এবং তার মোবাইল দেওয়া হল না কেন।এদিকে দেহ নিয়ে আসা হয় একটি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে। দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার সময় পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বা মৃত্যুর সঠিক কারনের কোনো কাগজই নেই বলে দাবি মৃত ব্যক্তির মেয়ে শ্রেয়া দাসের। তার কথায় আমরা কিভাবে বুঝবো যে আমার বাবা কিভাবে মারা গিয়েছেন।এদিকে ধূপগুড়ি পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং বলেন, ঘটনা দু:খজনক।দেশ সেবায় গিয়ে মৃত্যুর পর এত অবহেলা এটা দুর্ভাগ্যজনক। পরিবারের লোককে বলা হয়েছিল তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন,সেই সময় পরিবার দাবি করেছিল একটা ছবি দেখানো হোক।কিন্তু সেটাও করা হয়নি।আমরা পরিবারের পাশে রয়েছি।ধূপগুড়ি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে শিলচরের সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
মৃতের স্ত্রী শ্যামলী দাস গুপ্তা বলেন,জানিনা ওখানে কি হয়েছিল।তবে মৃত্যুর দিন সকালে আমার সঙ্গে দুইবার কথা হয়েছিল।আমার সঙ্গে সবঠিকঠাক ছিল।ইউনিট থেকে বলেছিল সুইসাইড নোট রয়েছে।কিন্তু সেগুলো কিছুই দেওয়া হয়নি।এখন বুঝতে পারছি না কি হল।
এদিকে দেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে আসা সেনা অফিসার বলিয়ার সিং বলেন,তার ঘরের ভেতরেই মৃত্যু হয়। ঘটনায় পুলিশকে ডাকা হয়।পুলিশ দেহ উদ্ধার করে এবং তদন্ত শুরু করে।