টানা বৃষ্টিতে উপচে পড়া সিসামারা নদীর জলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আলিপুরদুয়ারের এক নম্বর ব্লকের শালকুমার ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনপাড়া এলাকা। নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ে গ্রামে। নদীর জল কমলেও আতঙ্ক ছাড়ছে না গ্রামবাসীদের l জল নামলেও এখন পুরু পলির স্তরে ঢেকে গেছে গোটা গ্রাম। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দ্রুত নতুন বাঁধ নির্মাণ না হলে আগামী বর্ষায় গোটা গ্রাম নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাঁধের ক্ষয়ক্ষতি এবং বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার জলদাপাড়া রাইনো কটেজে যান আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল ও বিশেষজ্ঞরা এসে এলাকা পরিদর্শন করুক এবং ভুটান সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবস্থা নিক। রাজ্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করবে।”
এদিকে, বাঁধঘেঁষা জলদাপাড়া রাইনো কটেজও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সৌভাগ্যবশত, ঘটনাকালে কোনও পর্যটক উপস্থিত ছিলেন না। জলদাপাড়া রাইনো কটেজের কর্ণধার ও জলদাপাড়া রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিঠুন সরকার বলেন, “সিসামারা নদীর বাঁধ ভেঙে কটেজের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে পর্যটন ব্যবসার ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এই গ্রামের প্রায় প্রত্যেকেই কোনও না কোনওভাবে পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত—গাড়িচালক, টোটোচালক, হোমস্টে মালিক বা স্থানীয় দোকানদার। পলিতে ঢেকে যাওয়ায় এখন বন্ধ সব কটেজ ও হোমস্টে, ফলে পর্যটক আসছেন না।”তিনি আরও জানান, “পর্যটনের স্বার্থে এবং গ্রামবাসীর জীবিকার জন্য এই ভেঙে যাওয়া বাঁধের দ্রুত পুনর্নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। নয়তো আবার বৃষ্টি হলে গোটা গ্রাম জলের তলায় চলে যাবে।” স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসেব নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসন রাজ্য সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন পাঠাবে বলে জানা গিয়েছে।