২৪ঘন্টা না যেতেই রীতিমতো ভোল বদল কোচবিহারে খুন হয়ে যাওয়া তৃণমূল নেতা অমর রায়ের মা কোচবিহার ডাউয়াগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কুন্তলা রায়ের। পুলিশের ওপর আস্থা হারিয়ে ছেলে খুনের কিনারায় সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার এ কথা বললেও বুধবার কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাতের পর ১৮০ডিগ্রী ঘুরে গেলেন কুন্তলা রায়। তিনি এদিন জানান রাজ্য পুলিশের ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে, তাই সিবিআই নয়, বরং সিআইডি তদন্ত চাইছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত শনিবার কোচবিহার-২নং ব্লকের ডোডেয়ারহাটে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে মৃত্যু হয় কুন্তলাদেবীর ছেলে তৃণমূল যুবনেতা অমর রায়ের। বাজারে মাংস কিনতে গিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় বাইক আরোহীদের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। একই সঙ্গে গুলিবিদ্ধ হন আলমগীর হোসেন নামে তার গাড়ির চালক। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কুন্তলা রায়ের এই ভোল বদল সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা উৎপল দাস বলেন, অমর রায়ের মা সিবিআই তদন্ত নিয়ে যে কথা বলেছিলেন, সেটা ঠিকই বলেছিলেন। পরবর্তীতে দলীয় চাপেই হোক কিংবা অন্য কোনো কারণেই হোক সেই মন্তব্য থেকে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। যেহেতু তিনি এসপি অফিসে গিয়েছিলেন, তাই এসপির চাপেই হোক বা তৃণমূল নেতাদের চাপেই হোক, তিনি নিজের বক্তব্য পরিবর্তন করেছেন।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, রাজ্য সরকারের পুলিশ অত্যন্ত সম্পন্ন। বহু জটিল খুনের কিনারা বারবার করেছেন তারা। এ ব্যাপারে সক্ষম পুলিশ। তাই পুলিশের উপর ভরসা রয়েছে কিন্তু অত্যন্ত তৎপর হয়ে অতি দ্রুততার সাথে এই খুনের কিনারা হওয়াটা প্রয়োজন। কারণ এই খুনের পর উদ্বিগ্নতা এবং ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাই দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে মানুষের প্রতি আত্মবিশ্বাস ফেরাতে হবে। এই দায়িত্ব পুলিশকে নিতে হবে। নিশ্চিত ভাবে পুলিশ এই কাজ করবে।কিন্তু অতি দ্রুততার সাথে এই কাজ করবার প্রয়োজন। তা না হলে মানুষের মধ্যে সংশয় দানা বাঁধবে, মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে। তাই এই খুনের দ্রুত কিনারা হওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।