বাড়ি বাড়ি চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগী হলেন গ্রামবাসী। চাঁদার টাকায় মাটি কিনে তা দিয়ে রাস্তার খানাখন্দ ভরাট করেছেন তাঁরা ৷ তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ গ্রামবাসীর ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদার চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলা গ্রামে ৷ রং ও দল দেখে উন্নয়ন অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। যদি এ বিষয়ে চাঁচল ২ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শান্তনু চক্রবর্তী জানিয়েছেন রাস্তার বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে দ্রুত সেই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

বর্ষা শুরু হতেই হাড় পাঁজর বেরিয়ে গিয়েছে রাস্তার ৷ দীর্ঘ বছর ধরে কোনও সংস্কার না হওয়ার জন্যই এখন রাস্তার এই দশা ৷গ্রামবাসীদের দাবি, বেহাল এই রাস্তা সংস্কারের জন্য তাঁরা একাধিকবার পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনের কাছেও লিখিত আবেদন জানিয়েছেন ৷ কিন্তু কোনও কাজ হয়নি ৷ এদিকে রাস্তার এই দশায় চরম সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা ৷ যানবাহন চলাচল করতে পারছে না ৷এমনকি মোটর বাইক চালিয়ে এই রাস্তায় যাতায়াতও ঝুঁকির হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ যে কোনও সময় ঘটে যাচ্ছে বড়সড় দুর্ঘটনা। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ করলেন ৷ চাঁদার টাকায় মাটি কিনে তা দিয়ে রাস্তার খানাখন্দ ভরাট করেছেন তাঁরা ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখান ৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ,ওই এলাকা সিপিএম বুথ তাই তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এলাকায় উন্নয়ন থমকে রেখেছে। রং দল দেখে উন্নয়ন হচ্ছে।তাই আমরা গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কার করলাম।
যদিও এ বিষয়ে চন্দ্র পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছবি সরকার বলেন দ্রুত রাস্তার কাজ শুরু হবে। বিরোধীরা এটা নিয়ে নাটক শুরু করেছে।
রং দল দেখে উন্নয়ন।বিরোধীদের বঞ্চিত। অভিযোগ সামনে আসতে শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, এই ঘটনা লজ্জার।এটাই হচ্ছে মা মাটি মানুষের সরকারের নীতি।মা কাঁদছে, মানুষ কাদছে। এই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।