অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকার বাড়ি থেকেই চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে করা হয়েছে দুটি ঘর। ব্লক থেকে বসানো হয়েছে সাবমারসিবল। কিন্তু অভিযোগ নিজের খেয়াল খুশি মতো কেন্দ্র চালাচ্ছেন ওই সহায়িকা। তিন ঘন্টার বদলে খোলা রাখা হচ্ছে এক ঘন্টা।প্রসূতি এবং শিশুরা খাবার না পেয়ে ঘুরে যাচ্ছে।সরকারি সাবমারসিবলের জল থেকে বঞ্চিত করছে গ্রামবাসীদের। সেই জল নিজেদের বাড়ির কাজে ব্যবহার করছে সহায়িকার স্বামী। বলতে গেলে করা হচ্ছে দুর্ব্যবহার। অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। তৃণমূল আমলের প্রত্যেকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা তোপ বিজেপির। অভিযোগ থাকলে প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে সাফাই তৃণমূলের। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের জনমদল পশ্চিমপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।

এই কেন্দ্রটি রয়েছে সহায়িকা শামীমা খাতুনের বাড়িতে।দুটি সরকারি ঘর রয়েছে।কেন্দ্রে ব্লক থেকে বসানো হয়েছে সোলার সাব মার্সিবল পাম্প। অভিযোগ,সহায়িকা ও তাঁর স্বামী দরবেশ আলি খেয়াল খুশি মতো সেন্টার চালান।সরকারি নিয়মানুযায়ী সকাল আটটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত কেন্দ্র খোলা থাকার কথা রয়েছে।তবে ওই অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রটি সকাল ন’টা থেকে দশটা পর্যন্ত মাত্র এক ঘণ্টা খোলা রাখা হয়। দশটার পরে খাবার আনতে গেলে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।কেন্দ্রের সোলার সাব মার্সিবল পাম্প থেকে এলাকার মানুষ জল নিতেন।সহায়িকার স্বামী দরবেশ দেড় মাস তালা ঝুলিয়ে রাখেন।জল আনতে গেলে গালিগালাজ করেন।সেই সোলার সাব মার্সিবল পাম্পেরজল দরবেশ নিজের বাথরুমে কানেকশন করেছেন।সে জল দিয়ে সব্জি চাষ করে থাকেন। অথচ মানুষকে জল খেতে দেন না।একাধিক অভিযোগে সহায়িকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা।
এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের সিডিপিও আব্দুস সাত্তার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।