ধর্ম যার যার উৎসব সবার, শুরু হয়েছে শারদীয় উৎসব আর এই শারদীয় উৎসবে অন্যান্য জায়গার মত মেতে উঠল সাউদের বস গ্রাম। কিন্তু এই পুজোতে সাম্প্রদায়িকতার ঊর্ধ্বে উঠে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মায়ের আরাধনায় মেতে উঠে গোটা গ্রাম বাসী। সমান ভাবে সামিল হয় এই এলাকার হিন্দু মুসলিম সকলে । জানা গিয়েছে,মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাউদের বস তরুণ সংঘ দুর্গোৎসব কমিটির পুজো এ বছর ২৬ তম বর্ষ। বুড়ি তোর্সা নদী তীরবর্তী প্রান্তিক গ্রাম সাউদের বস।

এখানে মূলত কৃষক এবং শ্রমিক শ্রেণীর বসবাস। এই গ্রামে হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সারা বছর মিলে মিশে বাস করে। যেহেতু গ্রামীণ পুজো তাই পুজোয় তেমন বাহারি প্যান্ডেল, আলোক সজ্জার চোখ ধাঁধানো ঝলকানি না থাকলেও সাবেক আমলের রীতি নিয়ম মেনে হয় পুজো। আর পুজো ঘিরে গ্রামের মানুষের উদ্দীপনা থাকে চরমে। তবে এই পুজোয় শুধু হিন্দু নয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও সমান ভাবে অংশ নেয়। স্থানীয় আজিত মিঞা বলেন, আমাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নাই পূজোয় আমরা সকলে মিলিত ভাবে চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে পুজোর কিছু দায়িত্ব পালন করে থাকি পুজোর কয়েকদিন সকলে খুব আনন্দ করি। মন্দিরের পুজোয় অংশ না নিলেও পুজোর প্রসাদ সকলে ভাগ করে খাই,শুধু পুজো নয় সারা বছর আমরা একে অপরে মিলে মিশে থাকি।
খুদে পড়ুয়া মিরাজ মিঞা,ইমরান হোসেন,ফিরোজ আলম ,রাকেশ তালুকদার, রাজীব তালুকদার, অজয় বিশ্বাস,তন্ময় বারই এক সঙ্গে হাতে হাত রেখে পুজোয় সামিল হয়, অঞ্জলী না দিলেও পুজোর প্রসাদ ভাগ করে খায় মিরাজ, ইমরান, ফিরোজ রা। এ বিষয়ে পুজো কমিটির সম্পাদক সুবোধ মজুমদার বলেন, আমাদের পুজো এবার ২৬ তম। প্রতিব ছরের মত এ বছরও আমরা কৃতি সংবর্ধনা এবং কিছু দুস্থ্য মানুষকে বস্ত্র বিতরণ করব। আমাদের পুজোয় প্যান্ডেলের চমক তেমন নেই কিন্তু প্রাচীন রীতি নিয়ম আঁকড়ে আমরা পুজো করে থাকি। সব থেকে বড় বিষয় আমাদের এই পুজোয় প্রতিবেশী মুসলিম সম্প্রদায়ের দাদা, ভাই সকলে মিলে আমরা পুজোয় মিলিত প্রয়াসে পুজো হয়। আমরা পুজোর কয়েকদিন সকলে মিলে প্রাণ খুলে আনন্দ করি। পুজো কমিটির সদস্য নীলমণি তালুকদার জানান, পুজোয় সামাজিক শিক্ষা মূলক বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয় খুদেরা নাট্যাভিনয় করে, ধুনুচি নাচ থেকে মহিলাদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। শুধু পুজো নয় আমরা সারা বছর হিন্দু মুসলিম মিলে মিশে থাকি পুজোতে সমান ভাবে অংশ নেয় প্রতিবেশী মুসলিম পরিবার গুলিও।