ভোটার লিস্ট থেকে বাংলা থেকে যদি কারো নাম কাটতে হয়,তাহলে প্রথম নাম কাটতে হবে শিশির অধিকারীর,বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর, সুকান্ত মজুমদার ও নিশীথ প্রামাণিকদের।তারপর আমাদের নাম কাটবেন।হুংকার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির। তার দাবি এরা সব বাংলাদেশী। হুঙ্কার মালদা জেলা তৃণমুল নেতৃত্বের। আমরা জয় বাংলা বলবো।এতে যদি কারুর রাগ হয় সে পাষন্ড।সে একটা ষাঁর কার্যত শুভেন্দু অধিকারীকে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে পাষন্ড ও ষাঁর বলে কটাক্ষ ইংরেজবাজার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুমালা আগরওয়ালার।তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রস্তুতি স্বভাব মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতার উদ্দেশ্যে তীব্র কটুক্তি একের পর এক জেলা তৃণমূল নেতা নেত্রীর।আগামী ২৮শে আগস্ট কলকাতায় হতে চলেছে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস।মালদা কলেজ অডিটোরিয়ামে তার প্রস্তুতি সভা থেকে এই বক্তব্য রাখেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ত্রিনাঙ্কুর ভট্টাচার্য সহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ নিয়ে তাদেরকে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন, যা বলেছি সঠিক বলেছি। জেলা তৃণমূলের সভাপতি আব্দুল রহিম বকশি বলেন,বিজেপি অযথা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।এস আই আর এর নাম করে দীর্ঘদিনের বাসিন্দা যাদের পূর্বপুরুষেরা ভোট দিয়ে আসছে। তাদের নাম বাদ দিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করছে। যদি নাম দিত তাহলে সিরিয়ালি আসতে হবে তাদের কাছ থেকে। বিরোধী দলনেতা তাদের পরিবার আছে,সুকান্ত মজুমদারের পরিবার আছে, নিশিত প্রামানিক যিনি এখনো বাংলাদেশে ভোট রয়েছে আমাদের মনে হচ্ছে। আগে ওদের নাম বাদ দেওয়া হোক তারপর আমাদের এখানে নাম বাদ দেওয়া হবে।কি করে আমাদের নাম বাদ দিচ্ছে সেটাও আমরা দেখে নেব।ওরা থাকবে ভোটার লিস্টে আর আমরা থাকবো ভোটার লিস্টের বাইরে।আমরা থাকবো ডিটেনশন ক্যাম্পে আর ওরা থাকবে রাজপ্রাসাদে এটা কখনোই মেনে নেওয়া যাবে না।
শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ বিজেপি নেতৃত্বের। দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন,তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা- নেত্রীরা একদম অশিক্ষিতের মতো কথাবার্তা বলছেন।তারা বিভিন্ন ভাবে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের কটুক্তি করছেন। কখনো বলছেন ঠ্যাং ভাঙবো, কখনো বলছেন বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেব তারা একটু করে দেখাক।আমরা চাই তারা একটু করে দেখাক কথার মাধ্যমে না বলে। জনসাধারণ এদের পেদিয়ে ভূত ভাগিয়ে দেবে। এইসব কথাবার্তা বললে জনসাধারণ ছাড়বে না।