নিজস্ব সংবাদদাতা: অন্য ভাষা থাকলেও সাইনবোর্ডে বাংলা বাধ্যতামূলক করল শিলিগুড়ি পুরনিগম। শিলিগুড়ি শহরে শপিং মল থেকে শুরু করে বড় বড় দোকান, প্রতিষ্ঠানগুলিতে সাইনবোর্ড রয়েছে। তাতে ইংরেজি, হিন্দি থাকলেও বহু জায়গায় বাংলা ভাষা উধাও। এ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন এর আগে আন্দোলন, প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।
যেকারণে বহুদিন ধরেই দাবি উঠছিল শিলিগুড়ি শহরজুড়ে সাইনবোর্ড, হোর্ডিংগুলিতে বাংলা বাধ্যতামূলক করা হোক। কিছুদিন আগে এব্যাপারে মেয়র গৌতম দেবও জানিয়েছিলেন সাইনবোর্ডে বাংলা রাখতে হবে। এরপরই এব্যাপারে পুরনিগমের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সাইনবোর্ড, হোর্ডিংয়ে অন্য ভাষা থাকলেও বাংলা রাখতেই হবে বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শপিং মল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, অফিস থেকে শুরু করে অন্যান্য সংস্থাগুলিকে এই নির্দেশিকা মানতে হবে। পুরনিগমের এই বিজ্ঞপ্তি জারির পর অনেকেই প্রশংসা জানিয়েছেন।
এই নিয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, বাংলা ভাষা ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। বহুদিন ধরেই বাংলা ভাষাকে শিলিগুড়ির বুকে সাইনবোর্ড, হোর্ডিং এই সমস্ত জায়গায় বাধ্যতামূলক করার দাবি উঠছিলো এবং এই বিষয়ে পরিকল্পনাও চলছিল। অবশেষে তা বাস্তবায়িত করার সময় এসেছে। তাই এই নির্দেশিকা। আগামী নববর্ষ অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল থেকে দফায় দফায় বিভিন্ন সংগঠন, ব্যবসায়ী ও মানুষদের বুঝিয়ে এই নির্দেশিকাকে সফল করা হবে। অপরদিকে শিলিগুড়ি পুরনিগমের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বাম কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম। তবে বিজেপি নেতা নান্টু পাল, এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেও পুরনিগমের একনায়কত্ব সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানান। তিনি বলেন, এই সমস্ত সিদ্ধান্ত পৌরনিগমে বৈঠক করে সমস্ত কাউন্সিলর ও আধিকারিকদের সহমত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তবে এই বোর্ড তা করে না। মেয়র নিজের মতো করেই হটকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তা একনায়কত্ব। তাই পুরনিগমের এই একনায়কত্বর বিরোধীতা করেন তিনি।