উত্তরবঙ্গ থেকে একের পর এক নারী পাচারের ঘটনায় উদ্বিগ্ন জাতীয় মহিলা কমিশন। চা বাগান গুলো রুগ্নপ্রায় অবস্থা এবং রাজ্য সরকারের দ্বিচারিতার জন্যই ফের সক্রিয় হয়েছে পাচারচক্র। পাচার রুখতে প্রশাসনিক সহযোগিতাও নেই এই রাজ্যের সরকারের। আর পি এফের আয়োজিত একটি কর্মশায় যোগ দিতে শিলিগুড়িতে এসে রাজ্যকে একহাত নিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার।
গত কয়েক মাসে উত্তরবঙ্গের বিশেষত তেরাই ডুয়ার্সের চা বলয় এলাকা থেকে নারি পাচারের ঘটনা ঘটে। যদিও, রেল পুলিশ ও শিলিগুড়ি পু্লিশের তৎপড়তায় পাচারের আগেও প্রায় ৯০ জন তরুণী উদ্ধার হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ পাচারকারীকে। ফের নতুন করে পাচারচক্র সক্রিয় হওয়ায় উদ্বিগ্ন জাতীয় মহিলা কমিশন। মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে একটি দল কয়েকদিন ধরে উত্তরের চা বলয় এলাকা ঘুরে দেখেন। কথা বলেন চা শ্রমিক ও পরিবারের সাথে। শোনের তাদের সমস্যার কথা।

এদিন সকালে মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার শিলিগুড়ির কাশ্মির কলোনীতে একটি নারী পাচার রোধ সংক্রান্ত একটি কর্মশালায় যোগ দেন। সেখানেই এই পাচারের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার অভিযোগ, রাজনীতির কারণের চা বাগানগুলি ধুকছে। সেখানে রেশন ব্যাবস্থা থেকে শুরু করে চিকিৎসা আবাস কোনটাই দিচ্ছেনা রাজ্য। প্রোভিডেন্ট ফান্ডের টাকা কেটে নেওয়া হলেও তা জমা হচ্ছে না। সেকারনে ২০-৩০ হাজার টাকার লোভে পড়ে চা বাগানের মেয়েরা পাচার হয়ে যাচ্ছে। বাগান মালিকরাও রাজ্যের বিভাজন নীতির কারণে লোকশানে মুখে পড়ছেন। নারী পাচার রুখতে গেলে সকলের সহযোগীতা ছাড়া এগোনো সম্ভন নয়।