গতকাল সন্ধ্যায় শিলিগুড়ির ভারত নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কিতে এস এস বির ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়ন বর্ডার ইন্টারঅ্যাকশন টিম একজন সন্দেহভাজন ইন্দোনেশিয়ান (মহিলা) কে আটক করে। ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর, এসএসবি জানতে পারে তার আসল নাম নি কাদেক সিসিয়ানি। তবে সে
নিয়োমান মুরনি পরিচয় দিয়েই ভারত নেপাল সীমান্তে নানান নথি নিয়ে ঘুরছিল। ভারত নেপাল সীমান্তে সে নিজেকে একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবেই এসএসবিকে প্রথমে পরিচয় দিছিল।

তবে এস এস বি তাকে আটক করে তাকে তল্লাশি চালিয়ে তার হেফাজত থেকে ইন্দোনেশিয়ান পরিচয়পত্র সহ একাধিক ভারতীয় জাল নথিপত্র পেয়েছে। ঐ সন্দেহভাজন মহিলা জিজ্ঞাসাবাদে এস এস বির কাছে স্বীকার করেছেন যে তিনি ভারতীয় নাগরিক না হওয়া সত্ত্বেও মুম্বাইয়ের একজন স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে একটি ভারতীয় আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড তৈরি করেছেন। ঐ মহিলা এসএসবির কাছে স্বীকার করেন ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, নেপাল এবং ভারতের মধ্যে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং সীমান্ত অতিক্রমের জন্য ঐ সমস্ত নকল পরিচয় পত্র একাধিক ব্যবহার করেছেন। অভিযুক্ত ঐ মহিলা বিদেশী আইন, পাসপোর্ট আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা লঙ্ঘন করার অভিযোগে এসএসবির হাতে আটক হয়। এসএসবির সন্দেহ ওই মহিলা জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন সীমান্ত পারাপার করে কোন অসৎ কাজে লিপ্ত রয়েছেন।
এস এস বি সূত্রে জানা গিয়েছে
ইন্দোনেশিয়ার পাসপোর্ট অনুসারে, তার নাম নি কাদেক সিসিয়ানি এবং তিনি ইন্দোনেশিয়ার বালি প্রদেশের বাসিন্দা।
আধার এবং প্যান কার্ডে তার নাম নিনোমান মুরনি উল্লেখ করা হয়েছে।
সন্দেহভাজন ঐ মহিলা জাল নথি ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং মুম্বাইতে এক এজেন্টের মাধ্যমে আধার কার্ড সংগ্রহ করে এক দশক ধরে মুম্বাইতেই বসবাস করেছিলেন। তিনি নেপাল, তুরস্ক এবং ভারত ভ্রমণের জন্য একাধিক ইন্দোনেশিয়ান পরিচয়পত্র ব্যবহার করেছিলেন।
সন্দেহভাজন ইন্দোনেশিয়ান ঐ মহিলাকে এস এস বির ৪১ নম্বর ব্যাটেলিয়ান গতকাল রাতেই গ্রেপ্তার করে এবং আরও তদন্তের জন্য এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য এস এস বি ওই মহিলাকে দার্জিলিং জেলা পুলিশের খারিবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধৃত ওই মহিলাকে আজ শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হবে।