তৃণমূল কংগ্রেসে শংকর মালাকারের যোগদানের পর প্রথমবার সাংবাদিক বৈঠকে বসল দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যা ছিল কংগ্রেসের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
দীর্ঘদিন ধরে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের অন্যতম মুখ ছিলেন শংকর মালাকার। তাঁর অনুপস্থিতিতে এদিন কংগ্রেসের নতুন নেতৃত্ব সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে জানান, সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির (AICC) তরফে দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের প্রাত্যহিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সুবিন ভৌমিক।

তাঁর পাশাপাশি সহ-আহ্বায়ক পদে রয়েছেন জীবন মজুমদার, অমিতাভ সরকার এবং অলকেশ চক্রবর্তী। এই চারজনই যৌথভাবে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে বর্তমান পরিস্থিতি, দলীয় কাঠামো ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমকে অবহিত করেন। সুবিন ভৌমিক বলেন, “শংকরদার চলে যাওয়া অবশ্যই দলকে নাড়িয়ে দিয়েছে, তবে সংগঠন থেমে থাকে না। কংগ্রেস তার আদর্শের উপর ভিত্তি করেই এগিয়ে যাবে। জেলা জুড়ে আবারও সংগঠনকে শক্তিশালী করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।” দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে জেলায় কংগ্রেসকে সংগঠিত করতে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হবে। সদস্য সংগ্রহ অভিযান, ব্লক স্তরে বৈঠক, এবং জনসংযোগ বাড়ানোই এখন মূল লক্ষ্য। শংকর মালাকারের দলবদলের প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দেন—দলবদল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হতে পারে, কিন্তু কংগ্রেসের আদর্শ ও কাঠামো বহু পুরনো ও মজবুত, যা এক বা একাধিক ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল নয়।
এই সাংবাদিক বৈঠক থেকেই স্পষ্ট—দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস এখন নবউদ্যমে নিজেদের পুনর্গঠনের পথে হাঁটছে।