সোমবার গভীর রাতে, প্রায় বারোটার পর, মাদারিহাট সংলগ্ন জলদাপাড়া জঙ্গলের পার্শ্ববর্তী একটি লোকালয়ে হাতির করিডোরের মধ্যবর্তী রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় এক ব্যক্তিকে। ঘটনাটি নজরে আসে টহলরত বনদপ্তরের কর্মীদের। অন্ধকারে রাস্তার মাঝে কাউকে পড়ে থাকতে দেখে প্রথমে ঘাবড়ে যান তাঁরা—প্রথম ধারণা ছিল, হয়তো হাতির আক্রমণে কেউ আহত হয়েছেন।
তবে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বনকর্মীরা এগিয়ে যান। কাছে গিয়ে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি আসলে একজন ফেরিওয়ালা—নাম এম. ডি. সেলিম। পেশায় তিনি ছোলা, মটর, চানা ইত্যাদি বিক্রেতা। ঘটনাস্থলের পাশেই পড়েছিল তাঁর ফেরির সামগ্রী। জানা যায়, তাঁর বাড়ি হোলং ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়।
বনকর্মীরা আর দেরি না করে তাঁকে গাড়িতে তুলে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেন। সৌভাগ্যবশত তাঁদের সতর্ক নজর ও তৎপরতার কারণে বড় ধরনের কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি।

তবে এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে—রাতের অন্ধকারে, হাতির করিডোরের মতো বিপজ্জনক এলাকায় কীভাবে একজন ব্যক্তি পড়ে থাকতে পারেন? যেকোনো মুহূর্তে ওই এলাকায় বন্য হাতি বা অন্য প্রাণী এসে পড়লে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেত তখন বনদপ্তরের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলত।
কিন্তু হাতির করিডরের মত স্পর্শকাতর এলাকায় কেউ মাঝ রাস্তায় গভীর রাতে পড়ে থাকবে। আর দুর্ঘটনা ঘটলে বনদপ্তর এর দিকে আঙুল তুলবেন এটা হয় না। তাই সকলকে সজাগ থাকতে হবে এরকম বন্য প্রাণীর করিডোর এলাকায় পড়ে থাকা থেকে নিজেকে সংযত রাখুন। আর ঘটনা হচ্ছে বন্যপ্রাণীর কথা না হয় ছেড়েই দিলাম ওই ব্যক্তি যেভাবে রাস্তায় পড়েছিল যে কোন যানবাহনও তার উপর দিয়ে চলে যেতে পারতো . গতকাল রাতের ঘটনায় বনকর্মীদের তৎপরতা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য । তাদের তৎপরতায় সৌভাগ্যবশত এ যাত্রায় বাড়ি ফিরলেন ফেরিওয়ালা।