DIGITAL BANGLA NEWS

আপনার এলাকার খবর

‘রাতের সাথী’ সহ একাধিক নিরাপত্তা পরিষেবায় কোচবিহার জোর দিতে চলেছে এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ

শুভম দে,নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহার:এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন পরিষেবাতে জোর দিতে চলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আরজি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদক্ষেপ ইতিমধ্যে করেছে তারা। তার মধ্যে ‘রাতের সাথী’ যেমন রয়েছে তেমনি বসানো হয়েছে হাসপাতালে আরও ১৪০টি নতুন সিসিটিভি ক্যামেরা। মহিলা ডাক্তারদের জন্য করা হয়েছে আলাদা রেস্ট রুম। হাসপাতালের ভেঙে যাওয়া মেন গেটটি ঠিক করে রং করা হয়েছে। এছাড়াও মাতৃমায় রোগীদের সঙ্গে আসা আত্মীয়দের বসা ও অপেক্ষা করার জন্য স্থায়ী বিশ্রামাগারের জায়গাও দেখা হয়েছে ইতিমধ্যে।

উল্লেখ্য, এত বছর হাসপাতালের ভেতরে ঢুকলে মনে হত এটা যেন একটা পার্কিং প্লেস। সেই ব্যাপারটাকে বন্ধ করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন আর যে কেউ নিজেদের গাড়ি হাসপাতালে চত্বরে ঢুকিয়ে দিতে পারবেন না। একমাত্র মুমূর্ষু রোগী, অ্যাম্বুল্যান্স, ডাক্তার এবং হাসপাতালকর্মীদের গাড়ি এখন থেকে ঢুকতে পারবে ভেতরে। বিনা কারণে কেউ গাড়ি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করা যাবে না বলে জানা গেছে।

সেই সঙ্গে এখন থেকে হাসপাতালকর্মীদের গাড়িতে গেট পাসের মতো একটা স্টিকারের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানালেন তিনি। একমাত্র স্টিকার যেসব গাড়িতে লাগানো থাকবে সেগুলোই হাসপাতাল চত্বরের ভেতরে রাখা যাবে বলে খবর . ইতিমধ্যেই হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী আরও বাড়ানো হয়েছে ৪৬ জন। এঁদের মধ্যে প্রচুর মহিলা রক্ষীও রয়েছেন। নতুন এবং পুরোনো মিলিয়ে বর্তমানে মহিলা নিরাপত্তারক্ষীদের সংখ্যা প্রায় ৪০। কিন্তু এত বছর ধরে এই মহিলা নিরাপত্তারক্ষীদের জামাকাপড় বদলানোর জন্য চেঞ্জিং রুম ছিল না। এবার মহিলাদের জন্য চেঞ্জিং রুমের ব্যবস্থাও হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে খুবই খুশি নিরাপত্তারক্ষীরা। খুব শিগগিরই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অ্যালার্ম সিস্টেম চালু করা হবে বলে খবর।। যাতে কোনও সমস্যা হলে একটা বেল টিপলেই সেখানে সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মী বা পুলিশ চলে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই অনেক কয়েকটি জায়গায় বসে গিয়েছে বায়োমেট্রিক লক। এর ফলে বাইরে থেকে যখন তখন কেউ আর ঘরের মধ্যে ঢুকে যেতে পারবে না। বিশেষ করে ডাক্তারদের বেস্ট রুমে নিরাপত্তা বাড়াতে এটি বসানো হয়েছে। ।

এবিষয়ে এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের  এমএস ভিপি সৌরদীপ রায় জানান,  রোগী,  রোগীর পরিজন সহ হাসপাতালে কর্মরত মহিলা কর্মী এবং একাধারে সকলের নিরাপত্তা খাতিরে বিভিন্ন পদক্ষেপ  গ্রহণ করা হয়েছে।।খুব শীগ্রই আরও অনেক নিরাপত্তা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। পাশাপশি তিনি বলেন জেলা পুলিশ প্রশাসন তাদের সাহাযার্থে সবসময় এগিয়ে আসেন।।এছাড়াও আরজিকর ঘটনার পর রাতের সাথী  প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এবং নিরাপত্তার খাতিরে তাদের এই রূপ পদক্ষেপ বলে এদিন জানান এমএসডিপি সৌরদীপ রায় ।

শেয়ার করুন...

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live TV

play-sharp-fill

নতুন খবর আবার পড়ুন

বালুরঘাট শহরের গোবিন্দপুর এলাকায় ফায়ার সেফটি বিহীন সোয়া মিল, বিধ্বংসী আগুনের থেকে রক্ষা পেলেন স্থানীয়রা

জনবহুল এলাকায় ফায়ার সেফটি বিহীন সোয়া মিল। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের হাত

Read More »