“খুবই শীঘ্রই সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরবো”, রবিবার নিজ বাসভবনে বিমল গুরুংয়ের সাথে সাক্ষাতের পর নিজের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন নিয়ে এমনটাই জানালেন ডুয়ার্সের অন্যতম নেতা মোহন শর্মা। যা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।এদিন কালচিনিতে এক আদিবাসী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদানের পূর্বে মোহন শর্মার সাথে সাক্ষাৎ করেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং।যদিও এই সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি দুই নেতার।

তবে এই সাক্ষাতের পর একে অপরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন বিমল ও মোহন ডুয়ার্সের দুই নেতাই।যেখানে বিমল গুরুং বলেন, “ডুয়ার্সের রাজনীতিতে মোহন শর্মা একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাকে নিয়ে সব দলেরই ভাবা উচিত।” অপরদিকে, মোহন শর্মা বলেন, “গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মাথার ‘মুকুট’ হল বিমল গুরুং।বর্তমানে পিছিয়ে থাকা গোর্খাদের বিমল গুরুংই সামনের সারিতে নিয়ে আসতে পারেন। ” পাশাপাশি, বর্তমান উত্তরের চা শিল্প নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, “বর্তমানে চা শিল্প সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারকেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।” এছাড়া নিজের সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার বিষয়ে মোহন শর্মা বলেন, “পারিবারিক কিছু কারনে রাজনীতি থেকে দূরে ছিলাম। তবে আমি রাজনীতির লোক বেশিদিন সেটার থেকে দূরে থাকতে পারবো না। খুব শীঘ্রই রাজনীতিতে ফিরবো।” গত বিধানসভা ভোটের পূর্বে সরকারি নয়টি পদ থেকে ইস্তাফা দিয়ে এবং তৃণমূল ছেড়ে অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন মোহন শর্মা। কিন্ত বিধানসভা ভোটের পড়ে আলিপুরদুয়ারের পাঁচটি বিধানসভাতে বিজেপির ভালো ফলাফলের পরও তাকে আর সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি মোহন শর্মাকে। যদিও এই কয়েকবছরে একাধিকবার বিজেপির নেতা ও মন্ত্রীরা তার সাথে সাক্ষাৎ করলেও তাকে রাজনীতির ময়দানে নামাতে পারেননি কেউই।তবে এবার রাজনীতির ফেরার কথা জানালেও, তিনি কোন দলে যোগদান করবেন কী না সে বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ মোহন শর্মা।