শীতের মরশুমের আগেই রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্রকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে উদ্যোগী হল কোচবিহার জেলা পরিষদ। এরজন্য রসিকবিল পর্যটন কেন্দ্র চত্বরের বেহাল শিশু উদ্যান সংস্কার সহ রসিকবিল মিনি-জু প্রবেশের মূল খানাখন্দে ভরা রাস্তা পাকা করার পাশাপাশি চিড়িয়াখানায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য পানীয় জলের রিজার্ভার ও শৌচাগার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জেলা পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে। রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্রকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু হতেই উচ্ছ্বাসিত পর্যটক থেকে ব্যবসায়ি সকলেই।

তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের রসিকবিল মিনিজু খুবই জনপ্রিয়। বাম আমলে রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে ওঠে। এখানে চিতাবাঘ, চিতল হরিণ, ঘড়িয়াল, ময়ূর সহ নানা পশুপাখি রয়েছে।
নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশের আনন্দ উপভোগ করতে এই জেলা তো বটেই পড়শী রাজ্য অসম থেকেও সেখানে ভিড় জমান পর্যটকরা।
বাম আমলে রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটনকেন্দ্রকে সাজিয়ে তুলতে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় পর্যটন কেন্দ্র লাগোয়া শিশু উদ্যান, অ্যাকোয়ারিয়াম ভবন, সংগ্রহশালা ও অতিথি নিবাস তৈরি হয়।এছাড়াও পর্যটকদের জলের তেষ্টা মেটাতে ইতিপূর্বেই জেলা পরিষদের উদ্যোগে ১৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মিনি জুতে গড়ে তোলা হয়েছে পানীয় জলের রিজার্ভার ও পানীয় জলের ট্যাঙ্ক। বৃহস্পতিবার সেই কাজ সর জমিনে খতিয়ে দেখে রসিকবিল চত্বর পরিদর্শন করলে কোচবিহার জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া।
★এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া বলেন, পর্যটকদের কাছে রসিকবিলকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তার প্রথম ধাপ হিসাবে সেখানকার বেহাল শিশু উদ্যানটিকে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে চিড়িয়াখানা প্রবেশের পাকা রাস্তা, পানীয় জল এছাড়া শৌচাগার তৈরির জন্য বাজেটে ধরা হয়েছে। সবমিলিয়ে এ কাজের জন্য ৫৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
★ জেলা পরিষদের এই উদ্যোগে অত্যন্ত খুশি সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা তাপস রাভা বলেন, জেলা পরিষদের এই উদ্যোগে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত রসিক বিল এলাকার ব্যবসায়ীরাও।