রবীন্দ্রনাথের ছবি পোড়ানোর ভাইরাল ছবি।ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের টুইট। অভিযোগ মালদার চাঁচল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে,কয়েকদিন আগে তৃণমূলের মঞ্চখোলাকে কেন্দ্র করে টিএমসিপি-র পক্ষ থেকে চাঁচোল কলেজে বিক্ষোভ দেখানো হয়।সেখানে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিতেও আগুন লাগানো হচ্ছে।এ নিয়ে সুকান্ত মজুমদারের টুইট।
টুইটে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন।অশিক্ষা,বর্বরতা ও ঔদ্ধত্য কোন চরম সীমায় পৌঁছালে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটতে পারে!

মালদহের চাঁচল কলেজ প্রাঙ্গণে এক টিএমসিপি নেতা প্রকাশ্যে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে এ দৃশ্য শুধু গোটা বাঙালি সমাজকে মর্মাহতই করে না, বরং মাথা নত করে দেয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তথাকথিত ‘ভাষা আন্দোলন’-এর নামে যেসব ভণ্ডামির নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে,মালদহের এই ঘটনাও তারই জঘন্য বহিঃপ্রকাশ। কবিগুরুর ছবি দাহ করার অপচেষ্টার মতো নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডকে যদি প্রতিবাদের অংশ হিসেবে দাঁড় করানো হয়, তবে সেটি বাঙালির সংস্কৃতির প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছু নয়।
জেলা বিজেপির সাধারন সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন,কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ছবি পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টার মতো দুঃসাহস যাদের মধ্যে জাগে,তাদের বাংলা প্রেমের দাবিই ভণ্ডামি। এমন ঘৃণ্য কাজ যারা করে তাদের বাঙালি পরিচয় দেওয়া নিজেই বাংলার অপমান।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি প্রসূন রায় বলেন,এই ঘটনা ভুল করে হয়ে গিয়েছে ইচ্ছাকৃত ভাবে কেউ করেনি।তাও আমরা ক্ষমা চাইছি। প্রত্যেক বাঙালির কাছে কবিগুরু পরম শ্রদ্ধেয়।কেউ যদি এই ঘটনা ভুল করে ঘটিয়ে থাকে তার জন্য ক্ষমা চাইছি।বিজেপি সবকিছু নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।