নিজস্ব সংবাদদাতা:বেকারত্ব বিরোধী দিবসে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়ে শুক্রবার পথে নেমেছিল ডিওয়াইএফআইয়ের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় থেকে কলতান দাশগুপ্তের মতো বাম নেতৃত্বরা। ডিওয়াইএফআইয়ের উত্তরকন্যা অভিযান ঘিরে রণক্ষেত্র শিলিগুড়িতে।

সকাল থেকেই জল কামান, লোহার ব্যারিকেড নিয়ে প্রস্তুত পুলিশ। পুলিশের বাধা পেয়ে প্রথমে বামেদের যুব সংগঠনের সদস্যরা রাস্তায় বসে পড়েন। তারপর তারা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে পুলিশের তরফে ছোড়া হয় কাঁদনের গ্যাস, লাঠিচার্জ। পাল্টা ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ।

বেকার বিরোধী দিবসে উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছে DYFI। উত্তরের ৭ জেলার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অভিযান নামে ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মীরা। স্থায়ী কাজ, বেকারত্ব দূরীকরণের দাবি নিয়ে মূলত এই অভিযানে নামে তারা। এদিন শিলিগুড়ির জলপাইমোর থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই কর্মীরা তিনবাত্তি মোড়ে পৌঁছালে সেখানে ব্যারিকেট দিয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী মিছিল আটকে দেয়।

DYFI কর্মীরা সেখানেই বসে পড়েন, তাদের দাবি তাদের যেন শান্তি পূর্ণভাবে তাদের দাবি সম্মিলিত স্মারকলিপি প্রদান করতে দেওয়া হয়। পুলিশ মিছিল আটকে দিলে তারা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের লাঠিচার্জ, ছোড়ে কাঁদনের গ্যাস।

ঘটনার জেরে শিলিগুড়ির বর্ধমান রোড, নৌকাঘাট, তিনবাত্তি মোড়, উত্তরকন্যা সহ একাধিক এলাকা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মীনাক্ষী-সহ বামেদের একাধিক নেতা, নেত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন মীনাক্ষী মুখ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে তৃণমূলের পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।

এভাবেই গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরছে এরা। একজন পুলিশকে আমরা ১০ জন মিলে দেখে নিতে পারি। কিন্তু আমরা গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে এসেছি। কলতান দাশগুপ্ত বলেন, আমরা ডেপুটেশন জমা দিতে যাচ্ছিলাম। পুলিশকে কেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে সেটা বুঝতে পারছিনা।