ছেলের নামে লক্ষ্মী ভান্ডর পাচ্ছে।আর এই ঘটনায় সামনে এলো লক্ষ্মীর ভান্ডারে জালিয়াতি।পুরুষের আধার কার্ড নম্বর ব্যবহার করে লক্ষীর ভান্ডারে কারচুপি। বিষয়টি সামনে আসতেই ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে মালদহ জেলা প্রশাসন।ঘটনাটি মালদার কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের যদুপুর নয়াগ্রামের। ঘটনার তদন্তে প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে খবর,কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের যদুপুর নয়াগ্রামের বাসিন্দা আমানুর রহমানের ছেলের বয়স বর্তমানে কুড়ি বছর।কিন্তু তারই আধার কার্ড নম্বর এবং তার বাবার ফোন নম্বর ব্যবহার করে লক্ষীর ভান্ডার ভূয়ো একাউন্ট দিয়ে তুলছে অন্য কেউ।

বিষয়টি জানতে পেরেই কালিয়াচক এক নম্বর ব্লক ও কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আমানুর। এদিকে বিষয়টি অভিযোগ যেতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া।আমানুরের অভিযোগ, আমার ছেলের বয়স ২০২১ সালে পনেরো বছর। বর্তমানে তার ২০ বছর বয়স চলছে।এদিকে ন্যূনতম ২৫ বছরের মহিলা ছাড়া লক্ষ্মীর ভান্ডার পুরুষরা কোনওমতেই পায় না সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী।কিন্তু তারপরেও কেউ বা কারা অসাধু উপায় অবলম্বন করে তার ছেলের নামের অক্ষরে পরিবর্তন করে এবং আধার কার্ড জালিয়াতি করে অন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা তুলে তা আত্মসাৎ করছে।বিষয়টি জানতে পেরেই আমি বিডিও এবং কালিয়াচক থানার দ্বারস্থ হয়েছি। আমার ধারণা একটি অসাধু চক্র কাজ করছে ব্লক অফিস চত্বরে।তাদের মারফতই এভাবে জালিয়াতি হচ্ছে।আমি এবিষয়ে পুরো তদন্ত চাইছি।আর এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানুতর।
দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী জানান,দুর্নীতিতে গোটা পশ্চিমবঙ্গ ছড়িয়ে পড়েছে।এখন মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মী ভান্ডারেও দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসছে। জেলা প্রশাসন এখন সেটা আবার তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছে।জেলা প্রশাসনের সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিস কুন্ডু জানান,বিষয়টি ইতিমধ্যেই অভিযোগ হয়েছে জেলা প্রশাসন এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।কোন রকম এই ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। আবার যদি এই ঘটনাকে কেউ ষড়যন্ত্র করে থাকে তাহলে তাদের উপরও কড়া আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।আর বিজেপি কি বলছে এটা শোভা পায় না।