নব নিযুক্ত পরিচালন সমিতির সভাপতিকে কলেজে ঢুকতে বাধা প্রাক্তন সভাপতি অমল কিস্কু অনুগামীদের।কলেজের মূল গেটে আসতেই সেই উত্তেজনা আবারো চরম পর্যায়ে পৌঁছাল।নবনিযুক্ত সভাপতিকে ঢুকতে না দিয়ে ধাক্কাধাক্কির ছবি ধরা পরলো পাকুয়াহাট ডিগ্রী কলেজে।যদিও ঘন্টাখানেক ধরে এই বিক্ষোভ চলে। পরবর্তীতে আলোচনার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হয়।
জানা গিয়েছে, পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি অমল কিস্কু’কে পদ সরিয়ে দেওয়া হয়।প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকেই কলেজের গেটে তালা বন্ধ করে আন্দোলনে নামেন অমল কিস্কুর অনুগামীরা। সম্প্রতি অমল কিস্কুকে অপসারণ করে পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজের সভাপতি পদে বহাল করা হয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: সনাতন দাসকে।সোমবার পাকুয়াহাট কলেজে ঢুতেই গেটে আটকে বিক্ষোভ দেখতে থাকে অমল কিস্কু অনুগামীরা।তাঁদের কথায় একজন আদিবাসী নেতাকে চক্রান্ত করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার প্রতিবাদেই এদিন পাকুয়াহাট ডিগ্রি কলেজের গেটে আবারো তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।এরই মধ্যে দুপুর নাগাদ কলেজের নব নিযুক্ত সভাপতি সনাতন দাস কলেজে আসতেই নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি এবং স্লোগান।অবশেষে, মালদা জেলায় তৃনমুল কংগ্রেসের এসটি সেলের সভাপতি চুনিয়া মুর্মু আশ্বাসে বিক্ষভকারীরা সরে দারায়।
নবনিযুক্ত পরিচালন সমিতির সভাপতি সনাতন দাস বলেন, বিকাশ ভবনের নির্দেশে আমি এদিন কলেজে আসি। এরপরে বেশ কয়েকজন ঢুকতে বাধা দেয়। কিন্তু পরবর্তী সময় তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। আমি আগেই কলেজের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। এদিন কলেজে এসেছি।
যদিও এ বিষয়ে উত্তর মালদার বিজেপি সভাপতি প্রতাপ সিং বলেন, টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মূলত এই গন্ডগোল। আর সেই কারণে কলেজ পরিচালন সমিতি পথ থেকে অমল কিছুকে সরানো হয়েছে। স্বাভাবিক তার অনুগামীরা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। কার্যত সরকারি সিদ্ধান্তকে দলের কর্মীরাই নস্যাৎ করছে।
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশীষ কুন্ডু বলেন, সরকারি যা সিদ্ধান্ত এসেছে সেটাকেই মান্যতা দিতে হবে। কে কি করছে তার কোন গুরুত্ব এখানে নেই।
