যখন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রেপ্তার হচ্ছে বাংলাদেশের অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা। যাদের কাছে থাকছে জাল আধার কার্ড,ভোটার কার্ড।সেই আবহতেই এবার জাল আধার কার্ড তৈরির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২। সিএসপি এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আড়ালেই চলছিল এই জাল আধার কার্ড তৈরির কাজ। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদা জেলার যে ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে,ধৃতদের নাম মোস্তফা আব্দুল ওয়াহেদ এবং মহম্মদ আজম ওরফে নবাব।প্রথমে চাঁচল থানার সতী এলাকা থেকে মোস্তফা আব্দুল ওয়াহেদকে গ্রেফতার করে চাঁচল থানার পুলিশ।পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই জাল আধার কার্ড চক্রের অন্যতম মূল মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ আজমকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদার উত্তর রামপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা আরও গেছে উত্তর রামপুর এলাকায় এরা একটি সিএসপি এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাত। কিন্তু তার আড়ালে চলত জাল আধার কার্ড তৈরির কাজ। দীর্ঘদিন ধরে ওত পেতে ছিল পুলিশ।তারপর সূত্র মারফত খবর পেতেই জালে আসে এই দুই ব্যক্তি।মালদা জেলার একদিকে বিহার ঝাড়খন্ড সীমান্ত। আবার আরেকটা বড় অংশ জুড়ে বাংলাদেশ সীমান্ত।যেখানে নদীপথে অনেকটাই অংশ অরক্ষিত।থাকে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা।প্রশ্ন উঠছে তবে এদের কাছে কারা জাল আধার তৈরি করেছে। কি উদ্দেশ্যে করেছে।ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।
জেলা বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়ালার অভিযোগ বাংলাদেশী রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করে জাল আধার কার্ড তৈরি করে ঘাটি গাড়ছে।এতে মদত রয়েছে তৃণমূলের।
তৃণমুলের শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি সাহেব দাস বলেন,যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দাবি রাজ্য পুলিশ সক্রিয় বলে ধরা পড়ছে।অনুপ্রবেশ হলে সেটা কেন্দ্রের ব্যর্থতা।