কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আই এন টি ইউ সির ভবন দখল নিয়ে প্রয়াত প্রাক্তন শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বিশ্বনাথ গুহুর স্ত্রী লক্ষ্মী গুহুর সাথে বর্তমান শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সঞ্জীব সাহার দলবলের সংঘর্ষ।আহত বেশ কয়েকজন।মালদার ইংরে

জবাজার থানার রথবাড়ি এলাকার ঘটনা।ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।
প্রয়াত শ্রমিক নেতা বিশ্বনাথ গুহ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামে কার্যালয় থেকেই শ্রমিক সংগঠনের কাজকর্ম করতেন। প্রায় ১৮ বছর আগে নৃশংস ভাবে খুন হয়েছিলেন বিশ্বনাথ গুহ।এরপর থেকে জেলা আইএনটিইউসির কাজকর্ম দেখতেন তার স্ত্রী লক্ষী গুহ।সেই সময় লক্ষ্মী গুহকে সভাপতি করা হয়।।বর্তমানে কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি আমরুদ জামান ঘোষণা করেছেন মালদা জেলা কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি লক্ষ্মী গুহুর বদলে হবেন সঞ্জীব সাহা।সেই নির্দেশ মানতে নারাজ বিশ্বনাথ গুহর স্ত্রী লক্ষী গুহ।সঞ্জীব সাহার নেতৃত্বে কর্মী সমর্থকরা কার্যালয় দখল করতে যায় রথবাড়ি এলাকায় বলে অভিযোগ।সেই সময় লক্ষী গুহর দলবল এবং সঞ্জীব সাহার দলবলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।দুই পক্ষের গন্ডগোলের পর পরিস্থিতির সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় রথবাড়ি এলাকায়।তবে কার্যালয়টি কার তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে গেল দলীয় কর্মীদের মধ্যে। লক্ষী গুহর অভিযোগ তাকে মারধর করা হয়েছে।তিনি এখনো সভাপতি পদে রয়েছেন এবং কার্যালয় টি তার স্বামীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এটা কোনো দলের নয়।

অন্যদিকে দলীয় নির্দেশে সভাপতির পদে থাকা সঞ্জীব সাহা বলেন,তারা কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে তাদের উপর লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। বেশ কয়েকজন আহত হয় এই ঘটনায়। এটা দলীয় কার্যালয় এখানে জোর করে দখল করে রেখেছেন লক্ষী গুহ।মালদা দক্ষিণের কংগ্রেস সংসদ ইশা খান চৌধুরী বলেন বর্তমানে সংগঠনের সভাপতি সঞ্জীব সাহা সুতরাং ওই অফিসের দায়িত্ব সঞ্জীব সাহারই থাকার কথা অন্য কারুর নয়।
রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, এদিন রথবাড়িতে কংগ্রেসের নেত্রী মহিলার উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা আবার প্রমাণ করে দিল কংগ্রেস মহিলাদেরকে সম্মান করতে জানে না। সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কংগ্রেস বলে কিছু নেই। যেভাবে মহিলাদের উপর হামলা চালাচ্ছে কংগ্রেস এরপরে কংগ্রেসের সাইনবোর্ড পর্যন্ত দেখা যাবে না
ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন,ওদের দলের মধ্যে কি বিষয় আছে এটা আমার দেখার বিষয় নেই। আমি ও বিশ্বনাথ গুহ একসঙ্গে করেছি।যখন লেবার সেল গঠিত হলো সেই সময় সেখানে মাটি ভরে চাটাই দিয়ে ছোট্ট একটি ঘর করেছিলাম আমরা।পরবর্তী কালে বিশ্বনাথ গুহ সভাপতি হওয়ার পরে সেই জায়গায় অফিস করেছিল।এটা বিশ্বনাথ গুহর একার নয় পৈত্রিক সম্পত্তি ও নয়। সুতরাং ওর স্ত্রী যেটা দাবি করছে ওটা ঠিক নয়। সরকারি পোস্টে এভাবে দাবি করা যায় না।