মালদায় হঠাৎ হাসপাতাল কোয়ার্টারে ঢুকে দুই দুস্কৃতির হাতাহাতি আতঙ্কিত চিকিৎসক ও তাদের পরিবার সেই ভিডিও ছবি ভাইরাল . যত কান্ড হাসপাতালে! আর জি কর থেকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে,এবার মালদার বুলবুলচন্ডি আর এন রায় রুরাল হাসপাতাল কোয়ার্টার চত্বরে দুই যুবকের হাতাহাতি।সেই সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল।আতঙ্কিত চিকিৎসক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। হবিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের।
ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ।মালদার হবিবপুর ব্লকের অন্তর্গত বুলবুলচন্ডী আর এন রায় গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা।বিষয়টি ব্লকস্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি।শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা । জানা গিয়েছে,বুলবুলচন্ডি আর এন রায় রুরাল এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চত্বরে রয়েছে হাসপাতাল কোয়ার্টার।এই কোয়ার্টারে চিকিৎসক হাসপাতাল কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বসবাস করেন। অভিযোগ স্থানীয় দুই যুবক নিজেদের মধ্যে বিবাদের জেরে ২ যুবক হাসপাতাল কোয়ার্টার চত্বরে ঢুকে পড়ে।সেখানেই হাতাহাতি শুরু করে দেয়।আর এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে চিকিৎসকরা।প্রশ্ন উঠছে তাহলে নিরাপত্তা কোথায়?ইতিমধ্যেই হবিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,আরজি কর কান্ড এখনো দগদগে। যার সুরাহা এখনো হয়নি। তারপরও হাসপাতাল চত্বরের কোয়ার্টারের ভেতরে দুই যুবকের হঠাৎ হাতাহাতি।ঘটনা ঘিরে আতঙ্কিত কোয়াটারে বসবাসকারী চিকিৎসক ও তার পরিবার।তাহলে তাদের নিরাপত্তা কোথায়।দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটবে? মেডিক্যাল অফিসার চিকিৎসক অমিত কুমার মন্ডল বলেন, হঠাৎ করে দেখতে পেলাম দুইজন কোয়ার্টারের মধ্যে হাতাহাতি করছে।সেই সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই দেখছিলাম বহিরাগতদের আনাগোনা।বিষয়টি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছিলাম। পরিবার নিয়ে কোয়ার্টারে থাকি। স্বাভিকভাবেই এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত । এই হাসপাতালে যারা চিকিৎসক রয়েছি,তারা এর আগেও বিষয়টি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি।এবারেও জানিয়েছি।
জেলা বিজেপির দক্ষিন মালদার সাধারন সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ীর অভিযোগ,এই রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নেই। এখন কোয়ার্টারে তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নেই।
জেলা তৃণমুলের মুখপাত্র আশিষ কুন্ডু বলেন,কোনরকম সরকারি জায়গায় আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন।আইন অনুযায়ী যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
