DIGITAL BANGLA NEWS

আপনার এলাকার খবর

মালদায় স্কুলে আছে ক্লাসরুম ও শিক্ষক,নেই ছাত্র ,বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা

মুখ্যমন্ত্রীর সরকারী প্রকল্পকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা।ছাত্র সংখ্যা ৮০০থেকে বর্তমানে ২০০জনে এসে দাঁড়িয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে স্কুল ছুট নিয়ে চিন্তা বাড়িয়েছে শিক্ষা মহলে। ঘটনাটি গ্রামে নয় , শহরের পুরসভা এলাকায় মালদার তিন নম্বর ওয়ার্ডের মিনু ঝা বয়েজ হাইস্কুলের।খোদ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সমিক্ষায় ধরা পরেছে চাঞ্চল্য কর তথ্য উঠে এসেছে। সংসার চালাতে পড়া বন্ধ করে শ্রমিকের কাজে যুক্ত হয়ে পরছে ছাত্ররা।বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানা হয়েছে। সেই কথা শিকার করে নিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক। জানা গিয়েছে,ঝা চকচকে নীল সাদা তিনতলা ভবন রয়েছে।

প্রায় ৮০০ পড়ুয়া ছিল।ক্লাস রুম ছিল ১৬ টি।এখন পড়ুয়া ২০০ জন ছটি ক্লাসরুমে পড়াশোনা করা হয়।প্রতি ক্লাসে দুটি করে সেকশন ছিল ৷১২ জন পূর্ণ সময়ের শিক্ষক শিক্ষিকা,একজন প্যারাটিচার,একজন কম্পিউটার শিক্ষক রয়েছে।রয়েছে পড়াশোনার জন্য ছাত্রদের পর্যাপ্ত সরকারী প্রকল্পের সহযোগীতা।কিন্তু তারপরেও প্রতিনিয়ত বাড়ছে স্কুল ছুটের সংখ্যা।
প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বলকুমার দাস জানাচ্ছেন,আমি ২০১৯ সালে এই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছি ৷ আজ যেমন ছাত্রের সংকট,একসময় তা কিন্তু ছিল না ৷ তখন আটশোর উপর পড়ুয়া ছিল ৷ এর প্রধান কারণ,এলাকার আর্থ সামাজিক পরিকাঠামোর ৷ তার সঙ্গে রয়েছে মানুষের সচেতনতার অভাব ৷ যারা এই স্কুলে পড়ে তাদের বেশির ভাগই একেবারে নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে আসে ৷ তাদের বাবা-মারা সামান্য পেশায় জড়িত রয়েছেন ৷ তাঁদের কাছে পেটের সমস্যাটাই প্রধান ৷ যে বাচ্চারা স্কুলে আসে না আমরা তাদের বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার চেষ্টা করি ৷ তাদের অভিভাবকরা পরিষ্কারই জানান,পরিবার প্রতিপালনের জন্য তাঁরা বাচ্চাদের কোনও না কোনও পেশায় ঢুকিয়ে দিতে বাধ্য হন ৷ স্কুল চত্বরে প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও পড়ুয়া হচ্ছে না। আমরা বর্তমান এবং পূর্বতন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে বারবার লিখিত আবেদন করেছি
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শক্তিপদ পাত্র বলেন,এই সমস্যার সমাধানে শুধু মানুষজনকে বোঝালেই হবে না।তাদের আর্থিক পরিস্থিতি উন্নত করতে হবে ৷ এর জন্য বড় পরিকল্পনা নিতে হবে ৷ আজকে তারা ভাবছে পড়াশোনা করে লাভ কি।কারণ চাকরি তো এখন পাওয়া যায় না।বাচ্চাগুলো তাদের কাছে একটা মাধ্যম ৷ তাই শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারকে আরও বেশি সাহায্যের কথা ভাবতে হবে ৷
মালদা জেলা,প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের ডি আই মলয় মন্ডল জানান,প্রাথমিক ভাবে আমাদের কাছে এ বিষয়টি জানা আছে।আমরা এ বিষয়ে খতিয়ে দেখব যদি এই ফিডার সিস্টেমটিকে রিসাবেল করা যায় সেটা দেখা হবে।
মালদা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু জানান,প্রতিটা গ্রামাঞ্চলে এত স্কুল বেড়েছে যার ফলে সবাই গ্রামীণ বেশির ভাগ পড়াশোনা করছে।শিক্ষার দিক থেকে আমাদের সরকার অনেক কিছু করছে।শিক্ষার দিক থেকে আমরা অনেক এগিয়ে রয়েছি।
ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলোন,সারা মালদায় একই চিত্র। আর এরা হয়ে গেছে সোর্স এরিয়া ফর চাইল্ড লেবার। ফলে ভিন রাজ্যে চলেছে। এখানে প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই।সামাজিক মুভমেন্ট নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে তবে স্কুলটিকে বাঁচানো যাবে।

শেয়ার করুন...

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live TV

play-sharp-fill

নতুন খবর আবার পড়ুন