বিধানসভা ভোট পরবর্তী সময়ে নাবালিকার সঙ্গে নোংরা কাজ করার অভিযোগের ঘটনায় রফিকুল ইসলাম নামে এক তৃণমূল কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করলো মালদা জেলা আদালত।এই ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করছিল সিবিআই।ঘটনাটি ঘটেছিল মালদার মানিকচকে।
২০২১ সালে জুন মাসে নির্বাচন পরবর্তী সময় মালদার মানিকচক থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে নোংরা কাজ করার ঘটনা ঘটে।ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল এলাকার তৃণমূল কর্মী রফিকুল ইসলাম।নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় সিবিআই যে মামলা গুলি তদন্ত করছিল তার মধ্যে এটিও ছিল অন্যতম।এই ঘটনায় সিবিআই চার সিট দেয়। মোট ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

অভিযোগ, নির্যাতিতার পরিবার বিজেপি সমর্থক হওয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অভিযুক্ত নাবালিকা মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে জেলা সফরে আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা।হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগের মামলায় দায়িত্বভার নেয় সিবিআই।জানা গিয়েছে, রাজ্যে সিবিআই মোট ৫৫টি মামলার দায়িত্বভার নেয়।এ দিন প্রথম এই মামলায় দোষী সাবস্ত করে।
ওই নাবালিকার আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র জানিয়েছেন,নির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেছে অতিরিক্ত দায়রা আদালত দুই। এই ঘটনায় সন্তুষ্ট নাবালিকার পরিবার
এই ঘটনা জুড়ে শুরু হয়েছে শাসকবিরোধী চাপানুতর। উত্তর মালদার বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত জানান, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাবাহিনী পুলিশের সঙ্গে যোগসাজ করে যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে ,আজকে পোস্ট পন্ট ভাইলেন্স যারা অভিযোগকারী তাদেরও পুলিশের উপর ভরসা ছিল না।আজকে তারা সিবিআই এর উপরে ভরসা করেছিল।কিন্তু সেই পরিবার আজকে পুলিশের প্রতি আস্থা রাখতে পারেনি।মালদা জেলা আদালতের মাধ্যমে সিবিআই তদন্তের পর বিশেষ রিপোর্ট জেলা আদালতে পেশ।আজকে মালদা জেলা আদালত তার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয় আগামীতে তার সাজা ঘোষণা হবে এই থেকে প্রমাণিত হলো পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পুলিশের প্রতি ভরসা নেই।
মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আসিস কুন্ডু জানান,নির্বাচন কেন্দ্র বাহিনীর মাধ্যমে হয় সেখানে কোথায় সন্ত্রাস ,যে অভিযোগটি বিজেপি করছে সেটা ভিত্তিহীন।যে ঘটনাটি আজকে বিজেপি প্রশ্ন করছে সেই ক্ষেত্রে এই ঘটনার সাথে তৃণমূল দলের কোন সম্পর্ক নেই। একটি মেয়ে তার প্রতি যে অত্যাচার হয়েছিল সেই ক্ষেত্রে জেলা আদালতে কেস হয় এবং সেই তদন্তে যে দোষী রয়েছে সে আজকে দোষী সাব্যস্ত হয় এতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন সম্পর্ক নেই।