১৮ হাত বিশিষ্ট লক্ষ্মী পূজো হয় আশ্রমে। মা লক্ষ্মীর হাতেও অস্ত্র থাকে।এই মা লক্ষ্মীর দু’টি কিংবা চারটি হাতে নয়,১৮টি হাত রয়েছে।মালদা বামনগোলা ব্লকের জগদল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের সারদা তীর্থ আশ্রমে,১৮ হাতের মহালক্ষ্মী পূজিত হন।শ্রী শ্রী সারদা তীর্থ আশ্রমে ২৬ বছর ধরে মহা শক্তি রূপে পুজো করা হয় মা লক্ষ্মীকে।এই লক্ষ্মী প্রতিমার দুই পুজিত হয়, রাতে কোজাগরী ও লক্ষ্মী রূপে পূজিত হবেন দেবী লক্ষ্মী।দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে প্রাচীন নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে ১৮ হাত বিশিষ্ট দেবী লক্ষ্মীর প্রতিমা পূজিত হয়ে আসছেন বামনগোলা ব্লকের গাঙ্গুরিয়া সারদা তীর্থ আশ্রমে।সোমবার সকাল থেকেই ওই আশ্রমে মহালক্ষ্মী রূপে এবং রাতে কোজাগরী লক্ষ্মী রূপে পূজিত হবেন দেবী লক্ষ্মী।

আশ্রমের স্বামী আত্মাপ্রেনান্দ মহারাজ জানান,১৯৯৮ সালে এই আশ্রমটির প্রতিষ্ঠা করা হয়।তার পরে থেকে ১৯৯৯ সাল থেকে তিনি ১৮ হাত বিশিষ্ট মহালক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন।তবে দেবী এখানে,সকালে এক রূপে, ও রাতে আরএকরূপে পূজিত হয়ে আসছে সেই থেকেই।এখানে দেবীর এক হাতে থাকে চক্র এবং অন্যান্য হাতে থাকে ত্রিশূল,গদা, তীর- ধনুক,বজ্র্য,কুঠার,পদ্ম, শঙ্খ-সহ অন্যান্য অস্ত্র। অসুরদের বধ করার জন্যই নাকি তাঁর এই রূপ।পুজোর আচারেও আছে ভিন্নতা। কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে ১৬ রকম উপাচারের মাধ্যমে পূজিত হন তিনি। পুজোর দিন সকালে বস্ত্র,আলতা, কাজল,চিরুনি, ধুপচি এবং অন্যান্য জিনিস দিয়ে মাকে পুজো করা হয়।১০৮টি বেল পাতা অর্পণ করা হয় যজ্ঞে।ভোগে থাকে ৫ রকমের ভাজা,তিন রকমের তরকারি,ডাল এবং মিষ্টি।রাতে এখানে চিত্রপটে মহালক্ষ্মীকে পুজো করা হয়। এই পুজো দেখার জন্য বিভিন্ন দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তদের ঢল নামে।এদিন কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা।এই পূর্ণিমার তিথিতে দেবীর সকালে মহালক্ষ্মী রূপে পূজিত হয়েছে। রাতে কোজাগরের লক্ষ্মী রূপে তিনি পূজিত হবেন। এই পুজো গোটা পশ্চিমবাংলার মধ্যে একমাত্র মালদার বামনগোলা ব্লকের গাংগুরিয়া আশ্রমে ১৮ হাত যুক্ত মহালক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে।
আশ্রম কর্তাদের বক্তব্য,দেবী এখানে লক্ষ্মী, মা দুর্গা, চণ্ডী রুপী সহ বিভিন্ন ভাবে পূজিত হয়ে থাকেন।তাই কাল্পনিক চিন্তাধারায় দেবীকে এখানে ১৮ হাত বিশিষ্ট হিসাবে পুজা করা হয়। লক্ষ্মী পুজার পর ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়ে থাকে।