জমি বিবাদের জেরে প্রতিবেশীদের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার প্রতিবন্ধী গৃহবধূ ও মেয়ে।আক্রান্ত একই পরিবারের পাঁচ জন।পরিবারের মহিলাদের শ্লীলতাহানী।বাঁধা দিতে গেলে লোহার রড,বাঁশ ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা দুষ্কৃতিদের।আতঙ্কে বাড়িছাড়া পরিবার। পুরাতন মালদার সাহাপুর বাজারপাড়া এলাকার ঘটনা।
জানা গিয়েছে,পুরাতন মালদার মহানন্দা তীরবর্তী এলাকায় জমিতে ঘরবাড়ি তৈরি নিয়ে প্রতিবেশী পরিবারের সঙ্গে বিবাদ বাঁধে আক্রান্তদের।স্থানীয় মাফিয়াদের জমি দখলে বাঁধা দিলে প্রতিবেশী অভিযুক্ত ছেচরু ঘোষ, দেবাশীষ ঘোষ,সহ আরও তিনজন ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

পরিবারে এক যুবতীর শ্লীলতাহানি করা হয়।চিৎকার শুনে বাঁধা দিতে এলে পরিবারের প্রতিবন্ধী গৃহবধূর শ্লীলতাহানি করা হয়।এরপর ওই মহিলার স্বামী ও দেওর,ভাসুর, শ্বশুর ও শাশুড়ি এগিয়ে এলে তাঁদেরকেও বেধরক মারধর করে হাত ভেঙে ও মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়।রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।পরে মালদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্তরা।তবে তাদের অভিযোগ দীর্ঘক্ষন থানায় বসিয়ে রেখে তারপর অভিযোগ নেওয়া হয়।তবে বাড়িঘর ভাঙচুর হওয়ায় আতঙ্কে বাড়ি ফিরতে পারছেন না বলেও দাবি ওই পরিবারের।
দক্ষিন মালদা জেলা বিজেপি সভাপতি অজয় গাঙ্গুলী বলেন,পুলিশ প্রশাসন মালদা জেলায় ভেঙে পড়েছে।সব পাঠিয়ে দিচ্ছে পারিবারিক গন্ডগোল বলে।একশ্রেনীর হাতে অস্ত্র চলে আসছে।সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে সরকারি দল।আর সেখানে পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার।
জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশীষ কুন্ডু বলেন,এটা একটি পারিবারিক ঘটনা।এটার সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। বিজেপি এর পরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে গন্ডগোল হলেও বলবে তৃণমূল করেছে।