নিজস্ব সংবাদদাতা: স্কুলের প্রধান শিক্ষকে গালিগালাজ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে।স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার।অভিযোগ সিভিকের মর্জি মাফিক কাজ না করাই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বৈঠকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছেন।ইতিমধ্যেই ওই প্রধান শিক্ষক স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা সিভিক ভলেন্টিয়ারের নামে লিখিত অভিযোগ জেলা শিক্ষা দপ্তর হবিবপুর থানা, জেলা পুলিশ সুপার এর কাছে অভিযোগ করেছেন।যদিও স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা সিভিক ভলেন্টিয়ার প্রধান শিক্ষকের ওঠা এই অভিযোগটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেনl সিভিক সভাপতি বনাম প্রধান শিক্ষক দ্বন্দ্ব ঘিরে স্কুলের পঠন-পাঠনের পরিবেশ লাটে ওঠার জোগাড়।
২০২২ সালের নভেম্বর মাসে আইহো হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি হয়েছেন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় বর্মন।স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি ওই পথ পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কাজে তিনি জটিলতা তৈরি করে চলেছেন।তাই তিনি চাইছেন স্কুল চলুক তার কথায়।অথচ হঠাৎ প্রয়োজনে তাকে স্কুলে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ।
এই প্রসঙ্গে সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় বর্মন বলেন,প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ মিশ্র নিজেই সব বিষয় জটিলতা সৃষ্টি করেন।তিনি একক সিদ্ধান্তে কাজ করতে চান।স্কুলের কারো সঙ্গে সহযোগিতা করেন না।আমি তার চালাকি ধরে ফেলেছি আমি সব ক্ষেত্রেই তার কাজে বাধা দিচ্ছি বলেই তিনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন।
এদিকে প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ মিশ্র জানান,উনি বিভিন্ন কাজে প্রথম থেকেই বাধা দিয়ে আসছেন।স্কুলের প্রতিটা বৈঠকে সমস্যা তৈরি করেন।সম্প্রতি স্কুলের একটি বৈঠকে সকালের সামনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছেন।তার জেরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।আমরা চাই প্রশাসন স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে তাকে সরিয়ে অন্য কাউকে নিয়োগ করুক l
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানুতোর।
উত্তর মালদা বিজেপির সভাপতি প্রতাপ সিং জানান,সিভিক ভলেন্টিয়ার তৃণমূল দল হিসেবে ওই স্কুলে নিয়োগ করা হয়েছে।এখন নেতাদের নয় সিভিক ভলেন্টিয়ার দিয়ে তৃণমূল দল চালাচ্ছে।
তৃণমূলের দাবি ইতিমধ্যেই অভিযোগ জেলা শিক্ষা দপ্তরকে জানানো হয়েছে ও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে জেলা শিক্ষা দপ্তর বিজেপি সব ক্ষেত্রেই অভিযোগ তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।আসলে তারা আজ মানুষের জনসমর্থন পাচ্ছে না বলেই অন্যের ব্যর্থতা দেখে বেড়াচ্ছে।
