বিহারের দুস্কৃতি ফেরিওয়ালা সেজে বাংলার বাড়িতে ঢুকে পাউডার দিয়ে মহিলাদের অজ্ঞান করে সোনার গয়না নিয়ে চম্পট। দীর্ঘ এক বছর ধরে ঘটনা ঘটলেও তাদের নাগাল পেতে কালঘাম ছুটছিল পুলিশের।অবশেষে মিলল সাফল্য।পুলিশের জালে মূল পান্ডা, বিহার থেকে গ্রেফতার। ঘটনাটি মালদহের বাংলা বিহার সীমান্ত হরিশ্চন্দ্রপুরের।
দীর্ঘ এক বছর ধরে এলাকা জুড়ে চলছিল প্রতারণা চক্র।সোনা পরিষ্কার করার নামে আবার কখনো টিভি ফ্রিজ ঠিক করার নামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাউডার দিয়ে অজ্ঞান করে সোনা নিয়ে চম্পট দিচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ হয়ে ছিল থানায়। কিন্তু দুষ্কৃতীদের ধরতে কাল ঘাম ছুটছিল পুলিশের। অবশেষে পুলিশের জালে মুল পান্ডা। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে একাধিক তল্লাশি অভিযানের পর বিহার থেকে দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় বিগত এক বছর ধরে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে এই ধরনের প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। ফেরিওয়ালা সেজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সোনা পরিস্কারের কথা বলছিল তারা।তারপর সোনার গয়না হাতে পেলেই মহিলাদের পাউডার দিয়ে অজ্ঞান করে সেই গয়না নিয়ে চম্পট দিচ্ছিল।আবার অনেকের বাড়ি এসি ফ্রিজ পরিষ্কার করার নাম করে যাচ্ছিল।অনেকে তাদের জালে পা দেয়নি।আবার অনেকে দিয়ে ছিল।এরকমই প্রতারণার শিকার হয়ে ছিলেন পিপলা গ্রামের ঝর্না মাইতি,পিয়ালী চক্রবর্তীরা।হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন।পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করে।বাংলা বিহার সীমান্তে নাকা চেক পয়েন্টে চলে তল্লাশি অভিযান। যদিও দুষ্কৃতীদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে মিলল সাফল্য। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের জালে মুল পান্ডা।বিহারের ভাগলপুরের গোপালপুর থানা এলাকার থেকে গ্রেফতার মহম্মদ সাদ্দাম (৩৫)।ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পেছনে আরো বড় কোন মাথা আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।দুষ্কৃতী গ্রেফতার হওয়াই খুশি প্রতারিতরা। যদিও তাদের মনেও থেকে গেছে আতঙ্ক।
হরিশ্চিন্দ্রপুর থানা সুত্রে খবর ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
