চুরির অভিযোগের তিন ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার চোর,উদ্ধার চুরি যাওয়া রুপোর এবং সোনার অলংকার। গতকাল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের মাটিগাড়া থানার পাঁচকেলগুড়ি এলাকায় একটি চুরির ঘটনা ঘটেছিল।
পাঁচ্কেল গুড়ির বাসিন্দা বীরেন্দ্র মজুমদারের বাড়িতে সকলের অনুপস্থিতিতে ওই চুরির ঘটনা ঘটে। গতকাল দুপুর বারোটা থেকে চারটার মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটেছিল বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ির দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে
সোনা রুপার অলংকার এবং নগদ ১৫০০০ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল চোর।

বীরেন্দ্র বাবু চারটে নাগাদ বাড়িতে এসে দেখেন বাড়ির দরজা ভাঙা, সবকিছু ওলট পালট। ঘরে ঢুকে দেখেন আলমারি ভাঙা খোয়া গেছে সবকিছু। এরপর গতকাল ঠিক সাড়ে পাঁচটি নাগাদ এই চুরির ঘটনা নিয়ে মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। চুরির ঘটনার অভিযোগ পেতেই তদন্তে নামে মাটিগাড়া থানার অ্যান্টি ক্রাইম উইং। বিভিন্ন সূত্র কে কাজে লাগিয়ে চিহ্নিত করা হয় দুষ্কৃতিকে। এরপর গতকাল রাত আটটা নাগাদ পাঁচ্কেল গুড়ি থেকে বাপি রায় নামে এক যুবককে আটক করে মাটিগাড়া থানার এন্টি ক্রাইম উইং। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সবকিছু পরিষ্কার হয়। সে স্বীকার করে অপরাধের ঘটনা সে ঘটিয়েছে। এরপর বাপি রায়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে চুরি যাওয়ার রুপো ও সোনার অলংকার উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু ক্যাশ পনেরো হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মাটিগাড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে নগদ অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।পাঁচকেল গুড়ি বিস্কুট ফ্যাক্টরি এলাকার বাসিন্দা ধৃত বাপি রায়। অপরদিকে পুলিশের দ্রুত অভিযানে অলংকার উদ্ধার এবং দুষ্কৃতী গ্রেপ্তারের ঘটনায় খুশি গৃহকর্তা বীরেন্দ্র মজুমদার। এদিন ধৃত বাপি রায় কে শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করে মাটিগাড়া থানার পুলিশ। বিউরো রিপোর্ট আমার বাংলা।