DIGITAL BANGLA NEWS

আপনার এলাকার খবর

মরশুম পেরোতে চললেও শুরু হয়নি গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ

অর্ণব পাল, মালদা: শুখা মরশুম পেরোতে চললেও এখনও গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয়নি ৷ ফলে ঘুম ছুটেছে গঙ্গাপাড়ের মানুষজনের।
কালীপুজোর পর থেকে বর্ষা শুরুর আগে পর্যন্ত শুখা মরশুম হিসাবে বিবেচিত হয় ৷ রতুয়া এক নম্বর ব্লকের গঙ্গা ভাঙন দুর্গত মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষজন অনেকদিন ধরেই দাবি জানাচ্ছেন, শুখা মরশুমে গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ করা হোক ৷ তাতে মাটি কিছুটা বাঁচবে ৷ কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, তাঁদের দাবিকে কোনও গুরুত্বই দেয় না প্রশাসন৷ গত বছর ভাঙন রোধের কাজ হয়নি৷ এবার এখনও পর্যন্ত সেই কাজ শুরু হয়নি৷ শুরু যে হবে তারও কোনও নিশ্চয়তাও নেই।

মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীকান্তটোলা গত বছরের ভাঙনে প্রায় নিশ্চিহ্ন৷ এখন গোটা দশেক ঘর রয়েছে পুরো গ্রামে৷ একজন গ্রামবাসি জানান, দু’বছর ধরে আমরা আশা করে রয়েছি ভাঙন রোধের কাজ হবে। কিন্তু কোনও কাজ হয় না। প্রশাসন কিংবা সরকার আমাদের কিছুই দিচ্ছে না৷ আমাদের আর কী চাওয়ার আছে ? আমাদেরও ঘর আর গ্রাম ছেড়ে অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে হবে ৷”মন্দির থেকে এখন নদীর দূরত্ব 25 মিটারের বেশি নয়৷ 50 মিটার দূরে মুলিরামটোলা প্রাথমিক স্কুল। এবার স্কুলটাও আর থাকবে কি না সন্দেহ রয়েছে৷ কালীপুজোর পর থেকে ভাঙন রোধের কাজ করার ভালো সময়৷ ছ’মাস শুখা মরশুম চলে৷ এখন সময় পেরোতে চলছে৷ আর কবে ভাঙন রোধের কাজ করবে। শ্রাবণ মাসে ? যখন নদী পাড় কাটবে, বন্যা হবে, তখন ?

এখনই সেই কাজ করার সময়। চৈত্র মাস শুরু হয়ে গিয়েছে৷ বৈশাখ আসছে। এখনও কাজ শুরু করলে কিছুটা রক্ষা ছিল ৷ প্রশাসন শুধু তারিখ দিয়ে চলেছে ৷” ভাঙন রোধের কাজ হবে কি না তা নিয়ে মমতাদিদি কিংবা মোদিদাদা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি৷ কারও কোনও চিন্তা নেই। বাড়ি পড়ছে, পড়ুক। লোক মরছে, মরুক। স্থানীয় নেতার পয়সা হচ্ছে, হোক। মোদ্দা কথা, মানুষ মরছে আর নেতার পয়সা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ভাঙন রোধের কোনও কাজই হয়নি ৷ কেউ কেউ বলছে, এখানে নাকি 21 কোটি টাকার কাজ হয়েছে ৷ অথচ মাত্র 21টা বস্তা নদীতে পড়ে রয়েছে ৷”


তাঁর কথায়, “এখনই কাজ করার সময় ৷ কিন্তু এখনও কাজ হচ্ছে না ৷ যখন ভাদ্র মাসে বন্যা আসবে, তখন এমএলএ, এমপি আসবে। গালে হাত দিয়ে কথা বলবে৷ মানুষকে দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকার কাজ করাবে৷ সামান্য টাকার কাজ করিয়ে বাকি টাকা নিজেদের পকেটে ঢোকাবে। এই টাকা নেতা থেকে শুরু করে ইঞ্জিনিয়ার, অফিসার, সবার পকেটে যাচ্ছে ৷ দেশের সংবিধান অনুযায়ী ভারতের মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্ব কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ৷ কিন্তু এরা বড়লোকের সরকার ৷ একটা বড় কোম্পানির লোক রাস্তা দিয়ে হাঁটলে ওর পিছনে 10টা পুলিশ থাকবে৷

কিন্তু সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লেও তার পিছনে কেউ থাকবে না৷ এটা ভারতের কী ধরনের সংবিধান ? সংবিধান শুধু কি নামেই ? কাজের জন্য কি সংবিধান লেখানো হয়নি ? গরিবের জন্য সংবিধান উলটো হচ্ছে ৷ প্রশাসন এখন শুধু বড়লোকের জন্য, গরিবের জন্য নয় ৷”সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, “শুখা মরশুমেই ভাঙন রোধের কাজ হবে ৷ ইতিমধ্যে তার পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গিয়েছে ৷ কয়েকদিনের মধ্যেই সেই কাজে হাত দেওয়া হবে ৷”

শেয়ার করুন...

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live TV

play-sharp-fill

নতুন খবর আবার পড়ুন

দ্বিতীয় স্ত্রীকে শারীরিক নিগ্রহ সহ নির্যাতনের অভিযোগ নদীয়া শান্তিপুরের তৃণমূল নেতা সুব্রত সরকারের বিরুদ্ধে

বিবাহিত এবং দুই সন্তান থাকা সত্বেও সেই সম্পর্ক লুকিয়ে দ্বিতীয়

Read More »