মরশুমে আমের মুনাফা নিয়ে সংশয়ে মালদহের চাষীরা*
আমের জেলা মালদহে চলতি মরশুমে ভালো ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও মুনাফা নিয়ে সংশয়ে আম চাষিরা।বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও আমকে কেন্দ্র করে জেলায় শিল্প না গড়ে ওঠা নিয়ে আক্ষেপ চাষীদের।যদিও এই নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে।
আমের জেলা মালদহ জেলার অর্থনীতি মূলত নির্ভরশীল আমের উপর।জেলার বড় অংশের মানুষের জীবন জীবিকা আম চাষ এবং আমের ব্যবসার উপর নির্ভর করে। মালদহের আম দেশের বিভিন্ন প্রান্ত সহ বিদেশেও রপ্তানি হয়।কিন্তু সেই তুলনায় মুনাফা করতে পারে না আমচাষীরা।ফলন যে বছর বেশি হয় সেই বছর টেনেটুনে চাষের খরচটুকু উঠে।মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রী জেলায় এসে মালদহর আম নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু আম কে কেন্দ্র করে এখনো এই জেলায় গড়ে উঠলো না কোন শিল্প।উদ্যোগ নেয় নি রাজ্য।আক্ষেপ চাষীদের মুখে। চাষীদের মতে আমকে কেন্দ্র করে মালদহে শিল্প গড়ে উঠলে যেমন তারা মুনাফা পেতো।তেমন ভাবেই জেলার কর্মসংস্থান সমস্যা দূর হত।এত সংখ্যক মানুষকে পরিযায়ী হয়ে বাইরে যেতে হতো না।

চলতি বছরে আমের ফলন যথেষ্ট ভালো।হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, রতুয়া থেকে শুরু করে সুজাপুর কালিয়াচক।প্রত্যেকটি ব্লকেই রয়েছে বড় বড় আমবাগান।মালদহের সুস্বাদু কুমারখা,হিমসাগর,ফজলি থেকে শুরু করে ল্যাংড়া আম।বাইরে যে আমের কদর যথেষ্ট রয়েছে।কিন্তু সেই আম যারা ফলাচ্ছে তারা কতটা মুনাফা পাবে।চলতি বছরে তাদের লক্ষী লাভ হবে কি না এই নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে চাষীদের মনে।অদূর ভবিষ্যতে সরকারের পক্ষ থেকেও আমকে কেন্দ্র করে এই জেলায় শিল্পের উদ্যোগ নেওয়া হবে কি না।সেটাও বড় প্রশ্ন?
বিজেপি নেতা রুপেশ আগরওয়ালা অভিযোগ তৃণমূলের আমলে বাংলায় কোন শিল্প হয়নি।পুরনো যেগুলো ছিল সেইগুলিও বন্ধ।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন,দাবি রাজ্য সরকার মালদহের আম এবং আম চাষিদের নিয়ে যথেষ্ট ভাবে।বাম আমলে তারা কোন উদ্যোগ নেয়নি।মালদায় বিজেপি সাংসদ থাকলেও কেন্দ্রের পক্ষেও কোন উদ্যোগ নেই।