DIGITAL BANGLA NEWS

আপনার এলাকার খবর

ময়নাগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে গলাকাটা অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার

ময়নাগুড়িতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে গলাকাটা অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার। মৃতদেহকে ঘিরে পরিবারের সদস্যরা ধন্দে, খুন, না দুর্ঘটনা?
মঙ্গলবার রাতে ময়নাগুড়ি বিডিও অফিস সংলগ্ন ৩১ নাম্বার জাতীয় সড়কে ময়নাগুড়ি ইন্দিরা মোড় এবং বিডিও অফিসের মাঝ রাস্তায় এক ব্যক্তির গলাকাটা অবস্থায় দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার মানুষজন। পরবর্তীতে এলাকাবাসীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত ব্যক্তির নাম নরেশ রায়, বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর, তার বাড়ি মাধবডাঙ্গা ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে বড় কমাত রাজারহাট এলাকায়। মৃত ব্যক্তির ভাই জানান গত কয়েকদিন আগে আসাম থেকে বাড়িতে এসেছিল । আসামে এল,এন,টি, তে কাজ করে বলে জানান তার দাদা ধনেশ্বর রায়।


মঙ্গলবার তার ভাই আসামে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা দেয় ময়নাগুড়িতে। সঙ্গে ছিল তার দাদা ধনেশ্বর রায়। দাদা ধনেশ্বর রায় ময়নাগুড়ি ইন্দিরা মোড়ে আসাম যাওয়ার বাসের টিকিট কেটে ভাইকে দিয়ে ধনেশ্বর রায় নরেশকে ওখানে রেখে বাড়ি চলে যায়। পরবর্তীতে দাদা ধনেশ্বর রায়ের কাছে শেষবারের মতো ফোন করে ভাই নরেশ রায়। দাদা ধনেশ্বরকে বলে ইন্দিরা মোর একটু গন্ডগোল লেগেছে এবং তাকে আসতে বলে। তিনি জানান ভাই একটু নেশাগ্রস্ত ছিল। তারা ভেবেছিল হয়তো নেশা করে কোন ঝামেলা হয়েছে। মাঝে মাঝে এরকম ঝামেলা- করত বলে জানান দাদা ধনেশ্বর। তাই তিনি আর ময়নাগুড়ি ইন্দিরা মোড়ে আসেননি।
পরবর্তীতে ভাইয়ের এই কথা শোনার পর দাদা ধনেশ্বর ভাইকে ফোন করলে সুইচড অফ দেখায়। এমতাবস্থায় রাতে খবর আসে এক ব্যক্তি গলায় ক্ষত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে রয়েছে। দাদা ধনেশ্বর এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এসে ভাইকে সনাক্ত করে। ধনেশ্বর রায়ের অভিযোগ তার ভাইকে কে বা কারা খুন করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃত দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার জলপাইগুড়ি হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।। ময়নাতদন্তের পর সঠিক ঘটনা জানা যাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

শেয়ার করুন...

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live TV

play-sharp-fill

নতুন খবর আবার পড়ুন