ময়নাগুড়ি ব্লকের উত্তর পদমতি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের খট্টিমারি বুথের টুম বাড়ি এলাকায় রাস্তার বেহাল দশা। হাঁটু ভরা কাদা, যেনো ধান চাষের জমি। জানা যায় বারংবার এলাকার প্রধান পঞ্চায়েত কে সমস্যার কথা জানালেও কোন সুরাহা পাননি এলাকাবাসীরা। ১৫ থেকে কুড়ি টি পরিবার অসুবিধার সঙ্গে জীবন যাপন করছে। এদিন বুধবার গ্রামের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে ধানের চারা রোপন করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকাবাসীরা ।

গ্রামবাসী আব্দুর রহমান জানান দীর্ঘ ১৫ থেকে কুড়ি বছর ধরে আমরা এই রাস্তার সমস্যায় ভুগছি। এক অসুস্থ রোগীকেও কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয় পাকা রাস্তা পর্যন্ত, গ্রামের গর্ভবতী মহিলাদের সেন্টারে ও হাসপাতলে যেতে হয় কাঁদার উপর দিয়ে অনেক কষ্ট করে, কোন এম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না রাস্তায় কাঁদার জন্য, স্কুলের বাচ্চারা হাতে জুতো নিয়ে কাঁদার উপর দিয়ে অনেক কষ্ট করে রাস্তা পার হয়ে যায়, গাড়ি ও টোটো তো দূরের কথা একটি সাইকেল নিয়েও যাওয়া সম্ভব হয় না এই রাস্তা দিয়ে। আমাদের পাড়ায় পরিবারের সংখ্যা কম হলেও এই এলাকায় প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ একর চাষের জমি রয়েছে, আর এই রাস্তা দিয়েই সমস্ত কৃষিজ ফসল গাড়ি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, এই রাস্তা কৃষিজ পণ্য নিয়ে যাতায়াত করার জন্য এক মাত্র সম্বল, আমাদের গ্রাম কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। কৃষিজ পণ্য নিয়ে যাতায়াত করতে আমরা খুবই সমস্যার সম্মুখীন হই প্রতিদিন। চলার একদমই অযোগ্য হয়ে রয়েছে বহুদিন থেকে এই রাস্তা। তাই আজ আমরা সকলে একত্রিত হয়ে রাস্তায় ধানের চারা রোপন করে বিক্ষোভে সামিল হলাম, আমাদের এই রাস্তা অবিলম্বে তৈরি না হলে আমরা আগামী ২৬ এ ভোট বয়কট করতে বাধ্য হব, ও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেব বলে জানান।
সেই সঙ্গে এলাকার বাসিন্দা আসমাইল নুরি আক্তার জানান আমরা অবিলম্বে রাস্তার দাবী জানাই, না হলে ভবিষ্যতে আরো বৃহত্তম আন্দোলনের ডাক দেবো।
অন্যদিকে এলাকার প্রধান মৌমিতা রায় জানিয়েছেন আমি বিষয়টি আপনাদের কাছে থেকেই জানতে পারলাম, আমি এই বিষয়ে এলাকার পঞ্চায়েতের কাছে খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি, এবং কি ব্যবস্থার গ্রহণ করা যায় সেই নিয়ে অবশ্যই চেষ্টা করছি।
সেই সঙ্গে জানিয়েছেন বর্তমানে আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় “আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান” ক্যাম্প প্রত্যেক বুথে বুথে করা হচ্ছে, প্রত্যেক বুথে ১০ লক্ষ টাকার স্কিম রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ওই এলাকাতেও আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান ক্যাম্প হবে, সেখানেও তারা এই অভিযোগটি জানাতে পারে বলে জানান প্রধান মৌমিতা রায়।