ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপটিবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সুস্তির হাট বাজারের বাসিন্দা বিশ্বদীপ ঘোষের স্ত্রী তার দুই সন্তানকে নিয়ে বালাসন এলাকায় নিজের বাপের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন গত শনিবার এরপর গতকাল সোমবার সকালে তাদের বাড়ি ফেরার কথা ছিল তবে রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি না পাওয়ায় তারা বাড়ি যেতে পারেনি উল্টো তারা আবার দাদুর বাড়িতে ঘুরে যায়। এরপরই সেই শিশুটি খেলতে খেলতে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় বাড়ির পাশেই যেহেতু ধরলা নদী এবং শিশুটি জলে পড়ে গিয়েছে নাকি অনুমানের ভিতিতে খবর দেওয়া হয় ময়নাগুড়ি সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের তারা এসে নদীর ঘাটে তল্লাশি চালায়, তবে আজ ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষের উপস্থিতিতে সকাল থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত ডুবুরি টিম তল্লাশি চালানোর পর তারা খবর পায় যে ওই শিশুটি দেহ বাংলাদেশের পাটগ্রাম এলাকায় উদ্ধার হয়েছে এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে পড়েছে।

ময়নাগুড়ি ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রসেনজিৎ কুন্ডু জানিয়েছেন সত্যি মর্মান্তিক এবং দুঃখজনক ঘটনা বর্ষার দিনে নদীপুকুর থেকে বাচ্চাদের সাবধানে রাখার বার্তা তিনি দেন পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনা এরাতে সচেতনতামূলক মাইকিং এর ব্যবস্থা করবেন। নিখোঁজ শিশুটির দিদা জানিয়েছেন গতকাল আমি ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম বাড়ি ফিরে দেখি শিশুটি উঠোনে খেলা করছিল হঠাৎ ১০ মিনিটের মধ্যেই শিশুটিকে আর দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও শিশুটির খোঁজ পাওয়া যায়নি গতকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ধরলা ও জর্দা নদীতে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা তল্লাশি চালায় এরপর খবর আসে যে শিশুটি বাংলাদেশে পাটগ্রামে উদ্ধার হয়েছে।ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা এলাকায়
ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ জানান বিষয়টি দুঃখজনক ঘটনা। ময়নাগুড়ি থানা পুলিশ ঘটনার কথা জানার পরপরই ওই এলাকায় শনিবার থেকেই সিভিল ডিফেন্স এর কর্মী এবং ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ কর্মীরা এবং আশেপাশে র সব ফাঁড়ি এবং থানা গুলিকে খবর দেওয়া হয়। যেহেতু নদীতে বাংলাদেশে চলে গেছে সেই জন্য বাংলাদেশের কিছু থানা কেউ জানানো হয়েছিল এই ঘটনা। মঙ্গলবার পাটগ্রাম প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই খবর পাওয়ার পর বাংলাদেশের বিডিআর, বিএসএফ ফ্ল্যাগ মিটিং করে ওই শিশুটির দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসে ময়নাগুড়ি থানায়। ময়নাগুড়ি থানা আইসি সুবল ঘোষ বলেন মঙ্গলবার ডিউটি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠিয়েছে।