রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেনর ঘনিষ্ট সিভিক ভলেন্টিয়ারের দাদাগিরি,মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে না অভিযোগ আক্রান্তদের . স্বামী -স্ত্রীর বিবাদ মেটাতে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ স্থানীয় তৃণমূল নেতার সালিশি সভা।ওই নেতা আবার পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার।তার স্ত্রী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা।সালিশিতে মধ্যস্থতা না হওয়ায় যুবকের পরিবারের কাছে দুই লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ।টাকা না দিলে অপহরণ করে রাখার অভিযোগ।তারপর পুলিশ উদ্ধার করলেও অভিযোগ পত্র থেকে নাম তুলে নেওয়ার জন্য ক্রমাগত হুমকি। রাতের অন্ধকারে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। আক্রান্তরাও তৃণমূল কর্মী।তালিবানরাজের অভিযোগ বিজেপির।

অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল নেতার। অভিযোগের প্রমাণ আছে? প্রশ্ন মন্ত্রীর। প্রশাসন দল দেখে কাজ করে না দাবি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার নারায়ণপুর এলাকার এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।
নারায়ণপুরের বাসিন্দা গোলাম রসুলের সঙ্গে বিহারের পূর্ণিয়ার রিজওয়ানা পারভীনের সঙ্গে কয়েক মাস আগে বিয়ে হয়। কিন্তু স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকতো।সেই অশান্তি মেটানোর জন্য মেয়ের বাবার বাড়িতে গত আগস্ট মাসের ২৩ তারিখ সালিশি সভা ডাকে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তারিখ আনোয়ার। যিনি আবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার।সালিশিতে মধ্যস্থতা না হলে থানায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে গোলাম রসূলকে অপহরণের অভিযোগ উঠে।তারিখ আনোয়ার সহ রসুলের স্ত্রীর বাবার বাড়ির পরিবারের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ হয়। বিহার থেকে গোলাম রসুলকে উদ্ধার করে পুলিশ। তারপর অভিযোগ পত্র থেকে তারিখের নাম সরানোর জন্য বারবার চাপ এবং হুমকি আসতে থাকে।এই পরিস্থিতিতে রাত্রিবেলা গোলাম রসুল এবং তার দাদার প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে পেট্রল দিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাদের অভিযোগ তারিখ আনোয়ার ফোন করে হুমকি দিয়ে ছিল যে বড় ক্ষতি হবে।সে তাদের দোকান জ্বালিয়ে দিয়েছে। এলাকায় বিশাল প্রভাব তার। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের নাম ভাঙিয়ে হুমকি দেয়।এমনকি মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না বলেও অভিযোগ। তাজমুলের সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতা তথা সিভিকের ছবিও সামনে এসেছে।
যদিও সমগ্র ঘটনা অস্বীকার করে তারিখ আনোয়ারের দাবি কেউ বা কারা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।না তিনি অপহরণের সঙ্গে যুক্ত না অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে।সমগ্র ঘটনা সামনে আসতে শোরগোল পড়ে গেছে।
অন্যদিকে কার্যত তারিকের পাশে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের দাবি অভিযোগ থাকতেই পারে।তার প্রমাণ থাকতে হবে। বাকিটা পুলিশ দেখবে।
জেলা বিজেপির সাধারন সম্পাদক রূপেশ আগরওয়ালার কটাক্ষ রাজ্যে আইনের শাসন নেই।তৃণমূলের কর্মীরাও তালিবানিরাজের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না।যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই নিয়ে সাফাই দিয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
তৃণমূল নেতা শুভময় বসু বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ প্রশাসন পক্ষ থেকে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নিবে ৷