জন্মের পর থেকে ছেলে এবং মেয়ে অসুস্থ।স্ত্রীর ও বিরল রোগে আক্রান্ত।সকলের সুস্থতা কামনা জল্পেশ মন্দিরে মনস্কামনা করেছিলেন ফালাকাটার যুবক সুশান্ত।অবশেষে মনস্কামনা পূরণ হতেই দন্ডি কেটে জল্পেশ মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছে ফালাকাটার বাবু পাড়ার যুবক সুশান্ত বর্মন।প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পথ দন্ডি কেটে মন্দিরে গিয়ে পুজো দেবেন যুবক।তীব্র গরম উপেক্ষা করে তার যাত্রা চলছে।

জানা যায় যুবক সুশান্ত রায়ের স্ত্রীর বিরল রোগে আক্রান্ত।পাশাপাশি তার এক ছেলে এক মেয়েও অসুস্থ।তাদের জন্য তিনি মহাদেবে কাছে মনস্কামনা করেছিলেন।দীর্ঘদিন পর তার মনস্কামনা পূরণ হয়েছে।সুশান্ত তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রবিবার ফালাকাটা থেকে রওনা দিয়েছিলেন।তিনদিন পর এদিন ধূপগুড়িতে এসে পৌছায়।তার লক্ষ্যে আগামী রবিবার জল্পেশ মন্দিরে পৌছে পুজো দিবেন।সুশান্তের মাসি পিঙ্কি বর্মন বলেন ভাগ্নের বউ এবং বাচ্চারা অসুস্থ ছিল।মহাদেবে কাছে মানত করেছিল ভাগ্নে।সকলেই তাতে সুস্থ হয়ে উঠে।ঠাকুর ওর মনস্কামনা পূরণ করেছে।সেই জন্যই দন্ডি কেটে ফালাকাটা থেকে জল্পেশ মন্দিরে শিব পুজো দিতে যাচ্ছে।উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী জল্পেশ মন্দিরে চলছে শ্রাবণী মেলা।প্রচুর মানুষ পুজো দিতে মন্দিরে আসছেন।এবছরে প্রথম দেখা যাচ্ছে মনস্কামনা পূরণ হওয়ায় দন্ডি কেটে পুজো দিতে যাচ্ছে অনেকেই।রবিবার দিন দেখা গিয়েছিল ফালাকাটার ব্লকের বগড়িবাড়ির যুবক সুজন মনস্কামনা পূরণ হতেই কাঁধে করে ঝুড়িতে ছেলে এবং মেয়েকে বসিয়ে পায়ে হেঁটে পুজো দিতে যেতে।এদিন দেখা গেল ফালাকাটার আরেক যুবক দন্ডি কেটে পুজো দিতে যাচ্ছে জল্পেশ মন্দিরে।