গত ৪ অক্টোবরের প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভয়াবহ ভূমিধসের ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রংবুল–ধোত্রে–রংমূক এলাকার গ্রামগুলিতে শনিবার থেকে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির নিরাপদ আশ্রয় ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারি আধিকারিক, জিটিএ (গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও পঞ্চায়েতের যৌথ দল মাঠপর্যায়ে সমীক্ষা চালাচ্ছে।
সমীক্ষা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জিটিএ-র উপসভাপতি রাজেশ চৌহান। তাঁর সঙ্গে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, জোরবাংলো–সুকিয়াপোখরি ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিস, পঞ্চায়েত কমিটি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা সমন্বিতভাবে ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন করছেন।

ধোত্রে কলেজভেলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একশোরও বেশি পরিবারকে উচ্চঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজেশ চৌহান জানান, “মিলিং এলাকায় একটি, আপার কলেজভেলিতে চারটি, চন্দ্রমানধুরায় একটি এবং মুন্ডাকাঠি-গোঠখরকা এলাকায় একটি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে। পাশাপাশি চন্দ্রমানধুরার ৮৪টি ও তামাং টোলের ১৫টি বাড়ি বর্তমানে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে।”
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমীক্ষা শেষে অতি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।
এর আগে দার্জিলিং জেলার জেলাশাসক প্রীতি গোয়েলও ভূমিকম্প ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের এই সক্রিয়তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য বলেন, “আমরা ঘরে থাকতে ভয় পাচ্ছি। প্রশাসন দ্রুত নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাবে, সেই আশাতেই আছি।”