ভারত বাংলাদেশ দুই দেশের পরিচয় পত্র রয়েছে। ব্যক্তি এক। পরিচয় দুই। কখনও ভারতীয়, কখনও বাংলাদেশি।ভারতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে এদেশে প্রবেশ করতে গিয়ে এমনই এক বাংলাদেশিকে ধরেছে মালদার মহদিপুর ইমিগ্রেশন পয়েন্ট অথরিটি। নির্দিষ্ট অভিযোগ জানিয়ে ধৃতকে ইংরেজবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।ধৃত বাংলাদেশিকে সাতদিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদনে মালদা জেলা আদালতে তোলা করা হলে বিচারক ছয় দিনের পুলিশি হেপাজতের আবেদন মঞ্জুর করেন।

পলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে,ধৃতের ভারতীয় নাম সেলিম শেখ (৩১)।বাড়ি মুর্শিদাবাদের কালুখালি এলাকায়।আবার বাংলাদেশের রাজশাহী এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ দিলওয়ার (৩০) নামে সেখানে পরিচিত।ইংরেজবাজার থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,সেলিম শেখ নাম ব্যবহার করে ওই তরুণ ভারতবর্ষে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ইমিগ্রেশনের চেকিংয়ে তার হেপাজত থেকে একটি বাংলাদেশি আইডেন্টিটি কার্ড বাজেয়াপ্ত হয়।এরপরেই অ্যাম্বাসি থেকে ওই ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করা হয়।সামনে আসে মহম্মদ দিওয়ারের পরিচয়। ইংরেজবাজার থানায় নির্দিষ্ট অভিযোগ করে ওই যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে মহদিপুর ইমিগ্রেশন পয়েন্ট অথরিটি। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে,ধৃতের হেপাজত থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট, ভিসা সহ কিছু ভারতীয় টাকা। উদ্ধার হয়েছে বাংলাদেশি পরিচয়পত্রও। তবে কোন পরিচয়পত্র আসল,তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারী অফিসাররা।পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমায় যাদব প্রেস বিবৃতিতে জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এবিষয়ে বিজেপি নেতা অজয় গাঙ্গুলি বলেন, এদিন ভারত বাংলাদেশ বর্ডারে যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার কাছে দুই দেশের নাগরিকত্বের কার্ড রয়েছে৷ এদিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগ্রে দেন তিনি।
তৃণমূল নেতা শুভময় বসু বলেন ভোটার কার্ড তৈরী এবং সিমান্ত নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্ত নীতির জন্য এ ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটছে বলে দাবি করেন তিনি।