মালদার মানিকচক ব্লকে মথুরাপুরের শংকরটোলায় ফুলহর নদীর পাড়ে ব্যাপক ভাঙন।বিগত কয়েকদিনের ভাঙনে প্রায় ছয়শো মিটার লম্বা ফাটল দেখা দিয়েছে।যেখানে সেখানে মাটির চাই ভেঙে পড়েছে নদী গর্ভে।এই ভাঙন নিয়ে ঘুম উড়েছে মথুরাপুরের পাঠানাপাড়ার বাসিন্দাদের।
নদী থেকে বাঁধের দূরত্ব মাত্র ৫০মিটার,আর বাঁধের একেবারে গা ঘেষে পাঠানাপাড়া গ্রাম।দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন,নইলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে মথুরাপুর সহ জেলা জুড়ে।বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস জেলা সেচ দপ্তরের আধিকারিকের।

মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত মথুরারের শংকরটোলা ঘাট,যার উপর দিয়ে বয়ে গেছে ফুলহর নদী।এই ঘাট থেকে প্রায় পঞ্চাশ মিটার দূরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে নদী পারে।বিগত পনেরো দিন ধরে ভাঙন হলেও কিছুদিন ধরে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় চিন্তিত স্থানীয়রা।প্রায় ৬০০ মিটার লম্বা এলাকাজুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে,ফুলহর নদীতে ভেঙে পড়েছে জমির বিস্তীর্ণ অংশ।বিগত কিছুদিন আগে ফুলহরের জল বাড়লেও বর্তমানে জলস্তর কম রয়েছে।সামনেই ভরা বর্ষা যারফলে বাড়বে নদীর জলস্তর, আর জল বাড়লেই ভাঙনের তীব্রতাও বাড়বে বলে দাবী স্থানীয় বাসিন্দাদের।এই ভাঙনের জায়গা থেকে বাঁধের দূরত্ব মেরেকেটে পঞ্চাশ মিটার।আর বাঁধের গা ঘেসেই রয়েছে মথুরাপুরের পাঠানাপাড়া গ্রাম।এই ভাঙনে বাঁধ কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে শুধু পাঠানাপাড়া নয় মথুরাপুর অঞ্চলের প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশটি গ্রাম জলমগ্ন হবে।তাই বর্ষা শুরুর আগে ভাঙন রোধের কাজ হোক দাবী স্থানীয় গ্রামবাসীদের।এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আনেশউদ্দিন বলেন,খুবই বাজে পরিস্থিতি এইভাবে ভাঙন হলে বাঁধ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হবে।পাঠানাপাড়া সহ মথুরাপুর এমনকি মানিকচকবাসী জলে ভাসবে।বিগত বছরেও ঠিক একইভাবে ভাঙন হয়েছিলো কিন্তু কোনো ভাঙন রোধের কাজ হয়নি।এবছর বর্ষার আগে এবং নদীর জল বাড়ার আগে কাজ না হলে পরিস্থিতি বেগতিক হবে।আমরা চাই দ্রুত ভাঙন রোধের কাজ করুক প্রশাসন।
অন্যদিকে এই ভাঙনের জায়গায় কাজ নিয়ে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দা শেখ সানাউল হক।তিনি বলেন,বিগত বছর ভাঙনের সময় সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাপজক করেছিলেন আশ্বাসও দিয়েছিলেন কাজের,কিন্তু কাজ করেননি।একপ্রকার তাদের অবহেলার কারণে এই পরিস্থিতি।এবছর কাজ না হলে আমরা রাস্তায় নেমে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।