নতুন বাজার মার্কেট কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা বেহাল অবস্থার মধ্যে ব্যবসা করছেন, ঘটনা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে আসলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কমল ভট্টাচার্য।
ময়নাগুড়ি নতুন বাজার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের পরিচালিত মার্কেট কমপ্লেক্সের ড্রেনেজ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় মার্কেট কমপ্লেক্সে র বিভিন্ন দোকানপাটের সামনে প্রায় এক হাঁটু জল জমে যায়। এই বর্ষা শুরুতেই। আগামীতে তো বর্ষা সেইভাবে শুরু হলে ব্যবসায়ীদের দোকান করতে অসুবিধা হবে বলে জানান নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সিদ্ধার্থ সরকার।

তিনি বলেন এই ব্যাপারে বেশ কয়েকবার জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ কে চিঠি করেছেন তারা , কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ড্রেনগুলি ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে এবং নিকাশি ব্যবস্থা খারাপের দরুন জল বেরোতে পারছে না ফলে মার্কেট কমপ্লেক্সের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু জল জমে যায় বৃষ্টি হলেই। এছাড়াও সিদ্ধার্ত বাবু বলেন বাজারে বিভিন্ন জায়গায় নোংরা আবর্জনা না ফেলায় দুর্গন্ধে ভরে যাচ্ছে বাজার চত্বর। ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন খাজনা বাবদ ১০ টাকা এবং সুইপার জোর করে পাঁচ টাকা আদায় করে ব্যবসায়ীদের থেকে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। ফলে নতুন বাজার ব্যবসায় সমিতির পক্ষ থেকে মাইক যোগে খাজনা বন্ধ করার নির্দেশ দেন ব্যবসায়ীদের। ফলে বর্তমানে খাজনা বন্ধ করে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সিদ্ধার্থ সরকার বলেন নতুন বাজার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মার্কেট কমপ্লেক্সের অবস্থা ভয়াবহ। যেকোনো সময় ছাদের চাই ভেঙে এবং বিল্ডিং ভেঙে অঘটন ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ কে। কিন্তু তাও কোন কাজ হয়নি এখন পর্যন্ত।
এদিন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কমল ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা ময়নাগুড়ি নতুনবাজার মার্কেট কমপ্লেক্সের বেহাল অবস্থা ঘুরে দেখেন। এবং তিনি নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সিদ্ধান্ত সরকারের সঙ্গে। এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আশ্বাস দেন এই বিষয়ে তিনি তার উদ্বোধন কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি জানাবেন। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবে ।
অন্যদিকে ময়নাগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় বলেন, নতুন বাজার বাস টার্মিনারসের মার্কেট কমপ্লেক্সে তৈরি হয়েছিল তৎকালীন বামফ্রন্ট আমলে, সেই সময়ই এই মার্কেটটি কোন পরিকল্পনা ছাড়া এবং অতি নিম্ন মানের কাজ হয়েছে বলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমরা আমাদের জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে বিষয়টি জানাবো।
অন্যদিকে নতুন বাজারের নোংরা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকার ফলে যেকোনো জায়গায় নোংরা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। ফলে পরিবেশে দূষণ হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তিনি বলেন এই বিষয়ে আমরা ময়নাগুড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে নতুন একটি নোংরা ফেলার ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ব্যবস্থা যতক্ষন না করতে পারছি, এতক্ষণ কিছু সমস্যা থাকছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নতুন ডাম্পিং কাউন্টের জন্য জায়গা চিহ্নিত করে ডাম্পিং রাউন্ডের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান। সেই নতুন ডাম্পিং রাউন্ড হলে পরে এই সমস্যা আর হবেনা