নাকে গামছা দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে জানালার ধারের রোগীকে।নোংরা,দুর্গন্ধ যুক্ত জল ডিঙিয়ে হাসপাতালে পৌছাতে হচ্ছে রোগী এবং রোগীর পরিবারের লোকজনকে।দিনভর এই ধরনের পরিস্থিতিতেও কোনোরুপ ব্যবস্থা নিতে দেখা গেল না সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।তাও আবার সদ্য ঘোষিত মহকুমা হাসপাতালের এহেন পরিস্থিতির শিকার রোগীর পরিবারের আক্ষেপ।সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দাবি করলেন দ্রুত সমস্যা সমাধানের।ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালের এই চিত্রই ফুটে উঠছে সোমবার রাতে।ধূপগুড়ি ব্লকের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল বলতে এই মহকুমা হাসপাতালে।

যা ২০২৩ সালের ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী উপহার ধূপগুড়ি বাসীকে।কিন্তু তার এই বেহাল অবস্থা।হাসপাতালের বর্হিবিভাগের বাইরে রয়েছে দুটি ট্যাঙ্কের মুখ।তা থেকেই জল বেরিয়ে আসছে। ঠিক ইর্মাজেন্সির সামনেই কালো দুর্গন্ধ জল গড়াগড়ি খাচ্ছে।এই জল মাড়িয়ে সকলকেই যাতায়াত করতে হচ্ছে।হাসপাতাল যেখানে মানুষ চিকিৎসা করাতে আসছে বিভিন্ন রোগের। সেখানে এই জলের গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে সাধারন মানুষ তথা রোগীর পরিবার।রীতিমতো রোগীকে দেখা যাচ্ছে হাতে স্যালাইন চললেও বারবার নাকে মুখে গামছা চাপা দিয়ে রাখতে। হাসপাতালে নিজের পরিবারের একজনকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসা ধূপগুড়ি পাটকিদহ এলাকার বাসিন্দা বিক্রম রায় বললেন,কিসের ট্যাঙ্কি জানা নেই,জলের কারনে গন্ধ বের হচ্ছে।আমি চাই অবিলম্বে সমস্যার সমাধান হোক।আমার রোগীকে জলপাইগুড়ি স্থানান্তর করা হয়েছে।আমি নিয়ে যাচ্ছি।কিন্তু এই পরিস্থিতি আশা করিনি।রোগীদের বমি বমি ভাব হচ্ছে গন্ধের জেরে।আরেক রোগীর আত্মীয় পরিতোষ রায় বলেন, কিসের ট্যাঙ্কি,অবিরত জল বেরোচ্ছে বেলা ১ টা থেকে এই পরিস্থিতি। গন্ধ বের হচ্ছে।আর এই জল পেরিয়ে মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ওভার ফ্লো হয়ে জল বের হচ্ছে,আর এই বেহাল দশা খুবই দুঃখজনক ঘটনা।সংশ্লিষ্ট দফতর এটা নজর দিক।দ্রুত সমস্যার সমাধান চাই।
যদিও ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অঙ্কুর চক্রবর্তী ফোনে বলেন, এই মুহুর্তে হাসপাতাল চত্বরে ক্লিনলিনেস ড্রাইভ চলছে।এর আগেও এই ট্যাঙ্কের মুখ থেকে জল বেরোনোর ঘটনায় অভিযোগ পেতেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল,এমনকী দুইবার পরিস্কার করানো হয়।ফের কাজ করাতে হবে।কিন্তু অভিযোগ এই মুহুর্তে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের আসেনি।খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।