বিজেপি বিধায়ককে খুঁজে পাওয়া যায় না! মানুষ গেলে তার দেহরক্ষীরা তাড়িয়ে দেয়, একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা মঞ্চ থেকে একাধিক ইস্যুতে বিধায়ককে আক্রমণ নবনির্বাচিত জেলা তৃণমূল যুব সভাপতির, পাল্টা বিজেপি বিধায়ক, তুঙ্গে তরজা
বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার প্রাক্কালে একুশে জুলাই কে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি সভায় সংগঠনকে চাঙ্গা করার মরিয়া প্রয়াস তৃণমূল নেতৃত্বের। বিজেপির ঘাঁটি ভেদ করতে মঞ্চ থেকে বিধায়ক কে একাধিক ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ নবনির্বাচিত জেলা যুব তৃণমূল সভাপতির। পাল্টা তোপ বিজেপি বিধায়কের। সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

মালদহ বিধানসভা তথা পুরাতন মালদহ এলাকা উনিশের নির্বাচন থেকে কার্যত বিজেপির দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। ব্যতিক্রম ছিল শুধু পুরনির্বাচন। গত লোকসভাতেও বিজেপির উত্তর মালদহ আসন জয়ের ক্ষেত্রে এই বিধানসভার লক্ষাধিক লিড গেরুয়া শিবিরকে এগিয়ে দিয়েছিল। এই আবহে পুরাতন মালদহের সংগঠন চাঙ্গা করতে বিজেপি বিধায়কের সক্রিয়তা নিয়ে নিশানা যুব তৃণমূল সভাপতির। যিনি একসময় পুরাতন মালদা ব্লকের সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। যার নেতৃত্বে পুরোভোটে ভালো ফল করেছিল তৃণমূল। এদিন পুরাতন মালদহ ব্লক ও শহর যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে যাত্রাডাঙ্গার পোপড়া হাটখোলা এলাকায় একুশে জুলাই উপলক্ষে একটি প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস, রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর সহ ব্লকের নেতৃত্বরা। বক্তব্যের শুরু থেকেই স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহাকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রসেনজিৎ।
যুব সভাপতির অভিযোগ, এলাকায় বিধায়ককে খুঁজে পাওয়া যায় না। মানুষ প্রয়োজনে দেখা করতে গেলে নিরাপত্তা রক্ষীরা দুর্ব্যবহার করে। সামান্য রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট বা স্কলারশিপের ফর্মের জন্যও মানুষকে গিয়ে ঘুরে আসতে হয়।
যদিও পাল্টা বিজেপি বিধায়কের দাবি, সভাতে লোকজন হচ্ছে না। তাই বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা বলছে তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের মতে পুরাতন মালদহের সংগঠন নড়বড়ে। কর্মীদের চাঙ্গা করতেই এই দাওয়াই নেতৃত্বের।