নিজেকে বিএসএফ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। নদীয়ার ধানপাড়া থানা এলাকা থেকে ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের একজনের নাম শুভজিৎ বর্মন এবং অপরজন তার স্ত্রী রিয়া হালদার বর্মন। রবিবার দুজনকে দিনহাটা আদালতে তোলা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই মাস আগে দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের সুকারুরকুঠি এলাকার অশোক সরকার নামে এক ব্যক্তিকে জনৈক ব্যক্তি নিজেকে বিএসএফ পরিচয় দিয়ে তার ব্যাংকের একাউন্ট নম্বর জানতে চায়। ওই ব্যক্তি অশোকবাবুকে বলেন, আমি আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছি ওই টাকা আমার স্ত্রীর একাউন্টে পাঠিয়ে দেবেন। পাশাপাশি ওই ব্যক্তি অশোক বাবুকে তার স্ত্রীর নম্বর পাঠিয়ে দেয়। অশোকবাবু সরল বিশ্বাসে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেন। যথারীতি অশোকবাবুর একাউন্টে ওই ব্যক্তি ৪৩ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই অশোকবাবু ওই ব্যক্তির দেওয়া নম্বরে ওই টাকাও পাঠিয়ে দেয়। একটু পরেই দেখা যায় অশোকবাবুর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হোল্ড হয়ে গিয়েছে এবং একাউন্টে থাকা বাকি টাকাও উধাও। অশোকবাবু প্রতারিত হয়েছেন এটা বুঝতে পেরে বিষয়টি গত 30 মে সাহেবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপর নদীয়ার ধানপাড়া থানা এলাকা থেকে শুভজিৎ বল্লভ এবং তার স্ত্রী রিয়া হালদার বল্লভকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। রবিবার তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক দুই দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে ওই মামলার সরকারি আইনজীবী নিহার রঞ্জন গুপ্তা বলেন, দিনহাটা দুই নম্বর ব্লকের সুকারুরকুঠি এলাকার অশোক সরকার নামে এক ব্যক্তিকে নিজেকে বিএসএফ পরিচয় দিয়ে ফোন করে এক ব্যক্তি। সে নানা কৌশলে অশোক সরকারের ব্যাংক একাউন্ট হাতিয়ে নেয়। এরপর তার অ্যাকাউন্ট হোল্ড হয়ে যায়। বিষয়টি সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে অশোকবাবু। পুলিশ তদন্ত করে নদীয়া থেকে শুভজিৎ বর্মন এবং তার স্ত্রী রিয়া হালদার বর্মন নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। এদিন দুইজনকে আদালতে তোলা হয়। পুলিশ পাঁচ দিনের নিজেদের হেফাজত প্রার্থনা করলে বিচারক তাদের দুই দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আইনজীবী নিহার রঞ্জন গুপ্তা জানান, ওই দুই ব্যক্তির নামে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ রয়েছে।