বাঙালিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরার মত ক্ষমতা আসাম সরকারের হবে না। আসাম সরকারের ফরেনার্স ট্রাইবুনালের এনআরসি নোটিশ পাওয়া কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের রামপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দক্ষিণ রামপুর গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর সরকারের সাথে সাক্ষাৎ করে তার পাশে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কথা বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
প্রায় তিন বছর আগে আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছিলেন এই দীপঙ্কর সরকার। পরবর্তীতে তিনি এই কাজ ছেড়ে দিয়ে চলে আসেন কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের রামপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দক্ষিণ রামপুর গ্রামের নিজের জন্মভিটায়।

বর্তমানে এখানেই রয়েছেন তিনি। আধার কার্ড রয়েছে তার, রয়েছে ভোটার কার্ডও।প্রতিটি নির্বাচনে নিয়ম করে ভোটও দেন তিনি। তার বাবা, কাকাও জন্মসূত্রে এই দক্ষিণ রামপুর গ্রামেরই বাসিন্দা। এরপরেও আসাম সরকার তাকে এই নোটিশ পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যে গুয়াহাটিতে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি জমাও করে এসেছেন তিনি বলে এদিন জানান দীপঙ্কর সরকার।
★এদিন এই দীপঙ্কর সরকারের বাড়িতে গিয়ে তার পাশে থাকার কথা বলেন অভিজিৎ দে ভৌমিক। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বলেন, তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের রামপুর-১, রামপুর-২, ফলিমারী বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা বেশি। তাই এই উদ্বাস্তু মানুষদের মধ্যে একটি প্যানিক তৈরি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই দীপঙ্কর সরকারের দাদু এই এলাকার ভোটার ছিলেন। আর তার নাতিকে এনআরসি নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। আসলে এভাবে প্যানিক তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে, যাতে এখানকার মানুষেরা স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের সাহায্য চান। কিন্তু এই প্যানিক সৃষ্টি করে কোন লাভ হবে না। বিজেপির কফিনের শেষ পেরেক হয়ে যাবে এই এনআরসি।
তিনি বলেন, এই বাংলার মানুষের আতঙ্কের কোনো কারণ নেই, কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন এরাজ্যে কোন এনআরসি হবে না। এ বাংলার মানুষ কোন কাগজ দেখাবেন না। দীপঙ্করকেও বলা হয়েছে তিনিও কোন কাগজ আসাম সরকারকে দেবেন না। বাঙালিকে ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরার মত ক্ষমতা আসাম সরকারের হবে না।